Image description

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার বিকেলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একটি বাণিজ্য কাঠামোর বিস্তারিত নিশ্চিত করেছে, যার লক্ষ্য হলো বিরল খনিজ রপ্তানি এবং প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পথ তৈরি করা।

বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, চীন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির জন্য আবেদনগুলো পর্যালোচনা ও অনুমোদন করবে, আর যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের ওপর আরোপিত কিছু বিদ্যমান বিধিনিষেধ বাতিল করবে। তবে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি।

এই বিবৃতি আসে একদিন পর, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা গতকালই চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।” পরে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, প্রশাসন ও চীন “জেনেভা চুক্তি বাস্তবায়নের একটি অতিরিক্ত কাঠামো নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে।”

এর আগে জুন মাসের শুরুতে লন্ডনে দুইদিনব্যাপী উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার হে লিফেং-এর নেতৃত্বাধীন আলোচক দল জেনেভা সমঝোতা বাস্তবায়নে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়।

লন্ডন চুক্তিটি এমন এক সময়ে স্থিতিশীলতা আনে, যখন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরল খনিজ রপ্তানি সীমিতকরণের ধীরগতির সমালোচনা করে এবং চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞা ও শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের সমালোচনা করে আসছিল।

যদিও চীনের সর্বশেষ বিবৃতিকে “উৎসাহজনক” বলে অভিহিত করেছেন চিনা বিষয়ক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘দ্য কনফারেন্স বোর্ড’-এর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলফ্রেডো মন্তুফার-হেলু, তিনি বলেন, বিরল খনিজের কোন কোন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে—ম্যাগনেট ছাড়া—তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়নি, ফলে আশা সীমিত রাখা উচিত।

তিনি আরও বলেন, উভয় দেশ বিরল খনিজকে ভবিষ্যতের আলোচনায় “গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত হাতিয়ার” হিসেবে দেখায়, তাই এই পণ্যের বাণিজ্য এখনও সীমাবদ্ধই থেকে যাবে।

উল্লেখ্য, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বাণিজ্য আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছায়, যার আওতায় দুই দেশের মধ্যে আরোপিত অধিকাংশ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত এবং কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।