Image description

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী কার্টুনিস্ট অ্যান টেলনেস পদত্যাগ করেছেন। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সামনে নতজানু হয়ে বসে রয়েছেন ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস। তার সঙ্গে রয়েছেন আমেরিকার বড় বড় শিল্পপতিরা। আমেরিকার সাম্প্রতিক অবস্থা তুলে ধরে এমনই কার্টুন ছবি এঁকেছিলেন  অ্যান টেলনেস। তবে সে ছবি সংবাদপত্রে ছাপা না হওয়ায় চাকরিই ছেড়ে দিলেন তিনি। এমন কাণ্ডের জেরে বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এলেন ওই কার্টুনিস্ট। বিতর্কিত ওই কার্টুনে বেজোসের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ, ওপেন এআইয়ের স্যাম অল্টম্যানের পাশাপাশি কার্টুন চরিত্র মিকি মাউসকে। মনে করা হচ্ছে, এখানে মিকি মাউসের মাধ্যমে আর এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে কটাক্ষ করেছেন। কারণ সম্প্রতি এক মানহানি মামলায় ট্রাম্পের সঙ্গে ১৫ মিলিয়ন ডলারের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেছে সংস্থাটি। বিবিসি লিখেছে, ওয়াশিংটন পোস্টে ওই কার্টুন ছাপতে রাজি না হওয়ার বিষয়টি ‘মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছেন অ্যান টেলনেস। তার ভাষায়, এ ঘটনা সংবাদপত্রের পরিস্থিতি বদলে দেবে। 

অনলাইনে পোস্ট করা পদত্যাগের ঘোষণায় অ্যান টেলনেস বলেন, তিনি ২০০৮ সাল থেকে ওয়াশিংটন পোস্টে কাজ করে আসছিলেন। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে আমি আমার কলম দিয়ে যাদের এঁকেছি, তাদের কারও কারণে কখনো আমার কার্টুনকে হত্যা করতে হয়নি। এবার যে কার্টুনকে হত্যা করা হলো, সেখানে বিলিয়নিয়ার প্রযুক্তি এবং মিডিয়ার নির্বাহীদের সমালোচনা করা হয়েছে, যারা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সুনজরে আসার জন্য সম্ভব সবকিছু করে আসছেন। টেলনেসের পদত্যাগের ঘটনা এমন সময়ে ঘটেছে যখন ওয়াশিংটন পোস্ট এবং বেজোস কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন। গত নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, ওয়াশিংটন পোস্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়ে কোনো সম্পাদকীয় প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। একইভাবে, সুন-শিয়ংও লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের সম্পাদকীয় বোর্ডকে হ্যারিসের সমর্থনে কোনো সম্পাদকীয় প্রকাশ করতে দেননি। পুলিৎজারজয়ী কার্টুনিস্ট অ্যান টেলনেস সংবাদমাধ্যমের দুনিয়ায় এক উল্লেখযোগ্য নাম। বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বের সমালোচনা করে তার আঁকা কার্টুন বিপুল প্রশংসা অর্জন করেছে বিশ্বে।

সূত্র: বিবিসি