Image description
 
 

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেফতারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দেশটির পুলিশ বাহিনীকে অনুরোধ করেছে দুর্নীতি দমন সংস্থা। গত শুক্তবার প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডসের বাধার মুখে ইউনকে গ্রেফতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) এই অনুরোধের বিষয়ে অবগত করেছে সংস্থাটি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয় (সিআইও) ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তাদের যৌথ উদ্যোগে ইউনের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে। সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিবৃতিতে দুর্নীতি দমন সংস্থা জানিয়েছে, গ্রেফতারি কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য পুলিশকে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেছে সিআইও।    

গত ৩ ডিসেম্বর দেশে সামরিক আইন জারি করে দেশদ্রোহিতার অপরাধ করেছিলেন কিনা ইউন- এই অভিযোগের তদন্ত চলছে। ইউনের সামরিক শাসন কয়েকঘণ্টা জারি থাকলেও, তার ওপর থেকে কয়েক সপ্তাহেও ফাড়া কাটার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইউনকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচকদের ক্ষোভে বিপর্যস্ত সিআইও মরিয়া হয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হলো। তাদের ব্যগ্রতার আরেকটি কারণ হলো, সোমবার মাঝরাতে গ্রেফতারি পরোয়ানার সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে।  একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, সিআইও এর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আইন পর্যালোচনা করছে পুলিশ।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টসহ অন্যান্য উচ্চপদধারী ও তাদের স্বজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে সিআইও প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে কোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার এখতিয়ার নেই সংস্থাটির।  আইন অনুসারে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট মামলা প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রেরণ করতে বাধ্য।ইউনের আইনজীবীদের দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ তদন্ত করার কোনও এখতিয়ার দুর্নীতি দমন সংস্থার নেই। ফলে, ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ইউনকে গ্রেফতার করতে আসাটাই ছিল বরং আইনের লঙ্ঘন।  ইয়োনহাপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনের গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিলের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তার আইনজীবীরা। তবে সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট তাদের এই আবেদন রবিবার খারিজ করে দেয়। এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এই টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই সিউও ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক দৃঢ় করতে রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।