Image description

গতকাল সোমবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহৎ সামরিক আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি, যা কাতারে অবস্থিত।

 
এই ঘাঁটিই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির কেন্দ্র এবং ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের আঞ্চলিক সদর দপ্তর হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ঘাঁটিটিতে বর্তমানে প্রায় ১০হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছেন।

 

আল উদেইদ ঘাঁটি অত্যন্ত সুরক্ষিত। এখানে রয়েছে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

 
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর আফগানিস্তানে তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই ঘাঁটি ব্যবহার শুরু করে। এর দুই বছর পর, এটি পুরো অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অভিযানের মূল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।

 

এই ঘাঁটি থেকেই ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন মিশন সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়াও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলাও এখান থেকে পরিচালিত হয়েছে।

ঘাঁটিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ধরনের সামরিক বিমান— উন্নত যুদ্ধবিমান, দীর্ঘপাল্লার বোমারু বিমান, ড্রোন, পরিবহন বিমান এবং আকাশে জ্বালানি সরবরাহকারী ট্যাংকার বিমান।

 

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়, হাজার হাজার আফগান ও মার্কিন নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার প্রধান কেন্দ্র ছিল এই ঘাঁটি। এখান থেকেই মার্কিন বিমানবাহিনী বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়।

এ ছাড়াও ঘাঁটির কোম্বাইন্ড এয়ার অপারেশন্স সেন্টার (সিএওসি) যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমা শক্তি প্রদর্শনের প্রধান কেন্দ্র, যা উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা থেকে শুরু করে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ২১টি দেশের উপর নজর রাখে ও অপারেশন চালায়।

কাতার ১৯৯৬ সালে এই ঘাঁটির নির্মাণ কাজ শেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রকে আকৃষ্ট করতে চেয়েছিল যেন মার্কিন সেনাবাহিনী এখানে অবস্থান নেয়।

 
এরপর থেকেই দেশটি ধাপে ধাপে এই ঘাঁটিতে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এ ঘাঁটি কাতারের নিজস্ব সেনাবাহিনী এবং ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স-এর ব্যবহারের জন্যও উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারের কৌশলগত সম্পর্ক দৃঢ় করার অংশ।

 

আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের ফলে এই ঘাঁটিতে এখন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড ছাড়াও বিশেষ বাহিনীর নেতৃত্বাধীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ইউনিট কাজ করে। দীর্ঘ সময় ধরে এই ঘাঁটির অবস্থান গোপন রাখা হলেও, ২০১৩ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হ্যাগেল ঘাঁটির অবস্থান প্রকাশ্যে আনেন।

গত মাসেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপসাগরীয় দেশগুলোর চার দিনের সফরের অংশ হিসেবে আল উদেইদ ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাতারের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় এবং তার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইরাক সফরের গল্প তুলে ধরেন, র‍্যালির মতো পরিবেশে সেনাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন।

বর্তমানে ইরানি হামলার পর ঘাঁটির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে ঘাঁটির উচ্চ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও কৌশলগত গুরুত্বের কারণে এটি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী উপাদান হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছে।

সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

 
 

সম্পর্কিত খবর

 
 

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ, চরম দুর্ভোগে কোটি কোটি মানুষ

 এএফপি
 
 
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ, চরম দুর্ভোগে কোটি কোটি মানুষ
২৪ জুন নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে বছরের সবচেয়ে উষ্ণ দিন হিসেবে প্রত্যাশিত দিনের সকালে সূর্য উদিত হয়। ছবি : এএফপি
 

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় সোমবার ভয়াবহ তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এতে প্রায় ১৬ কোটিরও বেশি মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। নিউইয়র্ক শহরের তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছনোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বড় মাত্রার তাপপ্রবাহ শুরু হয়।

 
তবে এ সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ওয়াশিংটন, বাল্টিমোর, ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্ক সিটিতে এ তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি।

 

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস সতর্ক করে বলেছেন, এই তীব্র গরম শুধু অস্বস্তিকর বা অসহনীয়ই নয়, বাসিন্দাদের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে। প্রতিবছর গরমে এই শহরের ৮০ লাখ মানুষের মধ্যে অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে।

 
পরিস্থিতিকে গুরুত্ব না দিলে খুবই কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

 

তিনি আরো জানান, প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে যেসব প্রবীণ নাগরিক ও অসুস্থ ব্যক্তির বাসায় এসি নেই, তাদের পর্যাপ্ত পানি পান করতে ও নিকটবর্তী কুলিং সেন্টার, লাইব্রেরি ও রিক্রিয়েশন সেন্টারে আশ্রয় নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। সোমবার ম্যানহাটানের ‘ফুসফুস’ খ্যাত সেন্ট্রাল পার্কের তাপমাত্রা ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়, যা ১৮৮৮ সালের পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

 

ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিওএস) জানায়, দেশের পূর্বাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় চরম তাপপ্রবাহ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এতে অন্তত ২৯টি অঙ্গরাজ্যের ১৬ কোটি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এই মাত্রার তাপপ্রবাহ বিরল ও দীর্ঘস্থায়ী। রাতেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে না এবং যারা পর্যাপ্ত ঠাণ্ডার ব্যবস্থা বা পানীয় গ্রহণ করে না, তাদের জন্য এটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

আবহাওয়াবিদরা এ অবস্থাকে বোঝাতে ‘হিট ডোম’ বা তাপগোলক পরিভাষা ব্যবহার করছেন।

 
এটি একটি উচ্চ চাপ বলয়, যা গরম বাতাসকে আটকে রাখে এবং ক্রমাগত তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

 

এদিকে নিউইয়র্কবাসীর জন্য এই দাবদাহেও কাজ বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। শহরের হারলেম এলাকায় ভবনের বাইরের অংশ মেরামতের কাজে ব্যস্ত শ্রমিক মানুয়েল বলেন, ‘আমাদের সহ্য করতে হয়। না করলে বাঁচব কী করে? কিছু সময় বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রাখি। সবার শক্তি তো এক রকম নয়।’

অন্যদিকে ওয়াশিংটন হাইটস এলাকায় কর্তৃপক্ষ কয়েকটি ফায়ার হাইড্রেন্ট খুলে দিয়েছে, যাতে বাসিন্দারা পানি ছিটিয়ে কিছুটা স্বস্তি পান। ৪৪ বছর বয়সী এসি টেকনিশিয়ান রোনাল্ড মার্সেলিন পিৎজার দোকানে এসি মেরামত করতে গিয়ে নিজেই প্রচণ্ড ঘামছিলেন। কথা বলতে চাইলে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি গরম সহ্য করছি, যাতে অন্যরা ঠাণ্ডা থাকতে পারে।’

প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাট দলের মেয়র প্রার্থী নির্বাচনের প্রাথমিক ভোট। নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো ও উদীয়মান বামপন্থী নেতা জোহরান মামদানির মধ্যে। কুওমো ২০২১ সালে পদত্যাগের পর রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছেন। সপ্তাহান্তে তিনি ভোটারদের আহ্বান জানান, তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসেয়িাস হলেও ভোট দেওয়া বন্ধ করবেন না।

ওয়াশিংটনে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মিলিয়ে হিট ইনডেক্স সোমবারে পৌঁছতে পারে ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের চরম তাপপ্রবাহ হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সরাসরি প্রভাব। ভবিষ্যতে এগুলো আরো দীর্ঘ ও তীব্র হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০২৪ সাল ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছর। আর ২০২৫ সাল শীর্ষ তিন উষ্ণতম বছরের একটি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

 
 
 

মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে ইরানে গ্রেপ্তার ৬

 অনলাইন ডেস্ক
 
 
মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে ইরানে গ্রেপ্তার ৬
 

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হামদান প্রদেশ থেকে আরো ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সূত্রে মিডল ইস্ট আই এ খবর জানায়। 

ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কর্মকর্তা আলী আকবর করিমপুর জানান, ইরানের হামদান, রাজান, নাহাভান্দ শহরে বিশ্বাসঘাতকতার সন্দেহজনক উপাদান পাওয়া গেছে। 

গ্রেপ্তাকৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা অনলাইনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেছে এবং ইরানের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।

 

 

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গুপ্তচর সন্দেহে ইরান ডজনখানেক ব্যক্তিকে আটক করেছে। এর মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির সরকার।

 
 
প্রাসঙ্গিক
 

ইসরায়েল, বোমা ফেলা বন্ধ করো, পাইলটদের বাড়ি ফিরিয়ে নাও : ট্রাম্প

 অনলাইন ডেস্ক
 
 
ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় দেশটির আরেক শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি সাবের নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি।

মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত এই বিজ্ঞানীকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে, যা ইসরায়েলের চলমান লক্ষ্যবস্তু-ভিত্তিক অভিযানের অংশ।

গত ১২ দিন ধরে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বিস্তৃত সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। এতে পারমাণবিক স্থাপনা, শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এবং সামরিক গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।

 
ইসরায়েল দাবি করছে, এই হামলাগুলোতে একাধিক উচ্চপদস্থ ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

 

১০ জনের বেশি বিজ্ঞানী নিহত

কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনস (সিএফআর) এর সোমবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জন ইরানি বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ফারেইদুন আব্বাসি, ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক প্রধান এবং আমির হোসেইন ফেকহি সংস্থাটির সাবেক উপপ্রধান।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাভুক্ত বিজ্ঞানী ছিলেন সেদিঘি

মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি সাবের ছিলেন প্রতিরক্ষামূলক উদ্ভাবন ও গবেষণা সংস্থা(এসপিএনডি)-এর এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রধান, যেটি বিস্ফোরক-সম্পর্কিত গবেষণা ও পরীক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত।

 
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের শুরুতে তাকে এবং তার দলকে পারমাণবিক বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরিতে প্রযোজ্য গবেষণার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

 

ইসরায়েলের স্বীকৃতি

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী  আরেক ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। যদিও সেখানে সেদিঘি সাবেরের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইডিএফ তেহরানের কেন্দ্রে শাসকগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, শত শত বাসিজ সদস্য (সরকারপন্থী আধা-সামরিক বাহিনী) হত্যা করেছে এবং এক শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে।

 

এই হত্যাকাণ্ড ইসরায়েল-ইরান চলমান উত্তেজনার সর্বশেষ ঘটনা। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসলেও, পাল্টা হামলা ও হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সংঘর্ষ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ইরান এই হত্যাকাণ্ডকে সরাসরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের উদাহরণ হিসেবে দেখছে এবং এর জবাব দেওয়ার প্রস্তুতির কথাও বলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাগুলো মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরানোর যেকোনো চেষ্টার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।