
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার সকালে প্রকাশ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যস্থতায় ঘোষিত ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি দ্রুতই দুর্বল হয়ে পড়ায় তিনি এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদিও তিনি উভয় পক্ষেরই সমালোচনা করেন, তবে বিশেষভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চুক্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসরায়েল ইরানের ওপর বোমা বর্ষণ শুরু করেছে।
তিনি ইসরায়েল ও ইরান—উভয় পক্ষকেই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য অভিযুক্ত করেন, যদিও তিনি সরাসরি যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেঙে গেছে বলে স্বীকার করেননি। ওয়াশিংটন থেকে নেদারল্যান্ডসের একটি ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তি হওয়ার পরপরই ইসরায়েল বিশাল পরিমাণে বোমা ফেলেছে—এত বড় আক্রমণ আমি আগে কখনো দেখিনি। এটা ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আক্রমণ।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই ট্রাম্প ট্রুথ স্যোশালে এক কড়া বার্তা দেন, যেখানে তিনি সরাসরি ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, ‘ইসরায়েল, বোমা ফেলা বন্ধ করো। যদি এটা করো, এটা হবে বড় ধরনের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন। তোমাদের পাইলটদের এখনই বাড়ি ফিরিয়ে নাও!’
তিনি বলেন, ‘আমি ইসরায়েলের ওপর খুশি নই। যখন আমি বলেছি, তোমাদের ১২ ঘণ্টা সময় আছে, তখন প্রথম ঘণ্টাতেই গিয়ে সব ফেলে দেওয়া ঠিক না।
ট্রাম্প সোমবার রাতে ঘোষণা করেছিলেন, ইসরায়েল ও ইরান ‘সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে তার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইসরায়েল দাবি করে, ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, আর ইরান অভিযোগ করে ইসরায়েল প্রথমে হামলা করেছে।
এই অবস্থায় ট্রাম্পের প্রকাশ্য ক্ষোভ এবং সতর্কবার্তা নতুন করে আলোড়ন তুলেছে কূটনৈতিক অঙ্গনে।
সূত্র : সিএনএন