
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ইরান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে এমন ঘোষণার পরেই তেহরানে একাধিক শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইরানি সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজ এজেন্সি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোররাতে এক প্রতিবেদনে ফার্স নিউজ এজেন্সি জানায়, ভোরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণার কয়েক মিনিট পর ইরানের রাজধানী তেহরানে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরআগে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের সেকশন-৭ খালি করে দিতে সাধারণ মানুষকে বার্তা দেয়। এরপরই তেহরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এরআগে, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। তিনি এ সময় ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান। পরে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে তাদের রাজি করাতে সমর্থ হন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৩ জুন) কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইরানি কর্মকর্তাদের ফোন করেন। তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে জানান ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। তিনি এ সময় ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েল বা ইরানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। বরং যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পাননি এবং পাওয়ার কোনো কারণও দেখছেন না জানিয়ে ইরানি এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান স্থায়ী শান্তি অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।
শীর্ষনিউজ