Image description

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার জবাবে এবার কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। একইসঙ্গে ইরাকেও একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের খবর পাওয়া গেছে।

 

তাসনিম জানাচ্ছে, 'বিশারাত ফাতেহ' এবং 'ইয়া আবা আবদুল্লাহ' নামে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় একাধিক ওয়ারহেড বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে।

 

আইআরজিসির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানাচ্ছে, এই প্রথমবার এই ক্ষেপণাস্ত্র কোনও হামলায় ব্যবহার করা হলো। সেই সাথে হামলায় আধুনিক ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।

 

খোররামশাহ-৪ নামেও পরিচিত এই ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের বৃহত্তম রকেট, যার পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার এবং ১,৮০০ কেজি পর্যন্ত একাধিক ওয়ারহেড বহন করার ক্ষমতা রয়েছে।

 

পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি এর আগে ২০২৪ সালের এপ্রিলে ‘সাদিক প্রমিস ১’ এবং আবার অক্টোবরে ‘সাদিক প্রমিস ২’-এ ব্যবহার করা হয়েছিল।

 

২০ টন ওজনের খাইবার ১৩ মিটার লম্বা। এর ব্যাস ১.৫ মিটার। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২,৫০০ কিলোমিটারের কম নয়। এর আঘাত করার ক্ষমতা ইউরোপ এবং এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত।

 

ক্ষেপণাস্ত্রটি কতটা বিপজ্জনক তা ব্যাখ্যা করার জন্য, এখানে একটি উদাহরণ দেওয়া হল -- শব্দ ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড বেগে ভ্রমণ করে, এই বিবেচনায় ক্ষেপণাস্ত্রটি বায়ুমণ্ডলের বাইরে শব্দের গতির ১৬ গুণ এবং বায়ুমণ্ডলের মধ্যে আট গুণ গতিতে ভ্রমণ করে। প্রচণ্ড গতিতে আঘাত করার কারণে একে ট্র্যাক করা এবং আটকানো কঠিন হয়ে পড়ে। সূত্র: বিবিসি, ডেকান হেরাল্ড।