নতুন করে আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রবিবার বিএফআইইউ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ সংক্রান্তচিঠি দেওয়া হয়। এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল সংস্থাটি।চিঠিতে এসব ব্যক্তির নামের সব ধরনের হিসাব তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে হিসাব খোলা থেকে শুরু করে সব ধরনের লেনদেন ও গ্রাহক-সম্পর্কিত ফরমও (কেওয়াইসি) চাওয়া হয়েছে।তালিকায় থাকা ২১ সাংবাদিক হলেন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ডিবিসি নিউজের বার্তা প্রধান প্রণব সাহা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক ও সিইও এম শামসুর রহমান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বার্তা প্রধান মামুন আবদুল্লাহ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট অনিমেষ কর।
তালিকায় আরও আছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. রুহুল আমিন রাসেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, দৈনিক খোলা কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার জাফর আহমেদ, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী, আমাদের সময় ডটকম ও আমাদের অর্থনীতির চিফ রিপোর্টার দীপক চৌধুরী, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ঝুমুর বারী, একুশে সংবাদ ডটকমের সম্পাদক জিয়াদুর রহমান, দৈনিক কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি আঙ্গুর নাহার মন্টি, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, এস এ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল, এস এ টিভির নির্বাহী পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার শাহনাজ সিদ্দিকী, একুশে টিভির সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী ও সমকালের সাংবাদিক রামা প্রসাদ।গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব সাংবাদিকের অনেকেরই কর্মস্থল ও পদবি পরিবর্তন হয়েছে। বিএফআইইউ সাধারণত বিভিন্ন সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে হিসাব তলব করে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে নিজেদের তদন্তের প্রয়োজনে হিসাব তলব করে থাকে।