Image description

বিশ্বব্যাপী নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় মানবিক বিপর্যয় চলছেই এবং আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর হস্তক্ষেপের অভাবেই এই সংকট ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের লাগাতার বিমান ও স্থল হামলায় একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৫১ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ১০৪ জন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থী বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বার্তাসংস্থা আনাদোলুর বরাতে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টার হামলায় নতুন করে এই প্রাণহানির ঘটনায় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৯৫৯ জনে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৪২ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “অনেক মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে কিংবা রাস্তায় পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকারীরা অনেক জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন না।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতা কয়েক দফা যুদ্ধবিরতি ভেঙে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় ইতোমধ্যেই ৫ হাজার ৬৪৭ জন নিহত এবং ১৯ হাজার ২০১ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে জানুয়ারিতে একবার যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বরং চুক্তি ভেঙে ফের আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল।

২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে মামলাও চলমান রয়েছে।