Image description

মধ্যপ্রাচ্য আবারো জ্বলছে। প্রতিশোধের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তেহরান, আর সেই আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ছে ইসরায়েল। আমেরিকার হামলার পর ইরান আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। এবার আর ছাড় নয়— উচিত শিক্ষা দিয়েই থামাতে চায় ইসরায়েলকে।

সোমবার ভোররাতে ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। তেল আবিবসহ ইসরাইলের মধ্যাঞ্চল জুড়ে বেজে ওঠে সাইরেন। আতঙ্কিত হয়ে বহু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছোটে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা আকাশেই ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করতে পেরেছে। তবুও আতঙ্কে আহত হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। আহতদের জরুরি সেবা দেয় ইসরাইলি সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড আদম’।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলা ছিল ‘অপারেশন টু প্রমিস থ্রি’-এর একবিংশ ধাপ। লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও যুদ্ধশিল্প-সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলো। গার্ড বাহিনীর দাবি, ইসরায়েল বিনা উস্কানিতে ইরানের ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালিয়েছে। এতে ইরানি নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় আত্মরক্ষার স্বার্থেই এই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার পর মধ্য, উত্তর ইসরায়েল এবং পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মুখপাত্র একে পরিকল্পিত ও প্রতিক্রিয়াশীল হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন, এটি ছিল ইসরায়েলি আগ্রাসনের যথাযথ জবাব। ভবিষ্যতে আরও কার্যকর ও ভয়ংকর হামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে গার্ড বাহিনী, যদি ইসরায়েল ফের ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালায়।

ফার্স্ট নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একই দিনে ইয়েমেন থেকেও একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।

চরম উত্তেজনায় মোড় নেওয়া এই পরিস্থিতিতে গোটা মধ্যপ্রাচ্য নতুন করে যুদ্ধের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। এখন বিশ্বজুড়ে নজর তেহরান ও তেল আবিবের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। শান্তির আশ্বাস আসবে, না কি আরও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাবে— তা বলবে সময়ই।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/_EC0ryH3ivg?si=m198M3crGQD1HQIE