Image description

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তৃতায় ৮৬ বছর বয়সী খামেনি বলেছেন, ‘বুদ্ধিমান লোকেরা যাঁরা ইরান, ইরানি জাতি ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানেন, তাঁরা কখনোই এই জাতিকে হুমকি দিয়ে কথা বলবেন না। কারণ, ইরানিরা কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।’

গত শুক্রবার (জুন ১৩) হামলা শুরুর পর প্রথমবার জনসমক্ষে এসেছেন খামেনি। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত (রেকর্ড করা) এই বক্তৃতায় খামেনি আরও বলেন, মার্কিনদের জানা উচিত, যেকোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব থেকে সরে এসে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে যোগ দিতে পারে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা জানি, তথাকথিত “সুপ্রিম লিডার” কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্য, তবে সেখানে নিরাপদে আছেন। আমরা তাঁকে এখনই হত্যা করছি না, অন্তত এই মুহূর্তে না।’ এরপর একটি পোস্টে তিনি ইরানের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ দাবি করেন।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর বিষয়ে ভাবছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খামেনি আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (এক্স) একাধিক পোস্ট দেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই যুদ্ধে প্রবেশ করে, তবে তাদের নিজেরই ক্ষতি হবে।

এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলা তীব্র হওয়ায় তেহরানের রাস্তাগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। তাঁরা সবাই শহর ছেড়ে যাচ্ছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ১ কোটির বেশি লোক তেহরান ছাড়তে শুরু করেন। ফলে শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় বিশাল যানজট।

প্রসঙ্গত, ছয় দিন আগে ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘাত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি কাঁপিয়ে দিয়েছে এই যুদ্ধ। এই সংঘাত দিন দিন আরও জটিল ও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টাচ্ছে।