Image description

ইরানের রাজধানী তেহরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে ইসরাইল। পাশাপাশি তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে- ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, তবে ‘তেহরান জ্বলবে’। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজের এই হুঁশিয়ারি এসেছে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে। 

 

উল্লেখ্য, ইরানের সর্বশেষ হামলার ভয়াবহতা খুবই গভীর। শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের নতুন ধরনের ‘হাজ ক্ষেপণাস্ত্র’ হামলার পর ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানিতে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগ। তিনি বলেছেন, ভয়াবহ ক্ষতিতে শোকার্ত তার দেশ। রোববারের সকালের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, খুব দুঃখজনক ও কঠিন সকাল পার করছে ইসরাইল। 

ওদিকে লন্ডনের প্রভাবশালী অনলাইন গার্ডিয়ান এক রিপোর্টে বলছে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) শনিবার সকালের দিকে তেহরানের আশেপাশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে এবং তারা জানায় তারা ‘আকাশপথে সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠত্ব’ অর্জন করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, খুব শিগগিরই তেহরানের আকাশে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান দেখা যাবে। এরপরেই ইরানের কঙ্গান বন্দরের একটি বিশাল গ্যাস শোধনাগারে বিস্ফোরণ ঘটে। ইরানি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, এটি ইসরাইলি ড্রোন হামলার ফল, যদিও ইসরাইল তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। এর পাশাপাশি রোববার ভোরে নতুন করে উভয় পক্ষ হামলা চালায়। 

ইসরাইল জানায়, তারা তেহরানে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর কিছু ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে।

তেহরানে শাহরান তেল ডিপো ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবনে হামলার খবরও নিশ্চিত করেছে ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। একইসঙ্গে তেহরান সংলগ্ন একটি আবাসিক ভবনে আঘাতে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে ইরান। এর মধ্যে ২০ জন শিশু। 

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে শত শত বোমা ফেলেছে এবং ইরানের দুই শীর্ষ জেনারেল গোলাম-রেজা মারহাবি ও মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরিকে হত্যা করেছে। 

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরাইলি হামলা চললে আরও কঠোর ও ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া আসবে। নতুন রেভল্যুশনারি গার্ডস কমান্ডার বলেছেন, আমরা নরকের দরজা খুলে দেবো। ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন বা ফ্রান্স যদি ইসরাইলের সহায়তায় ইরানের ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে, তবে তাদের ঘাঁটি ও নৌবাহিনীকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে।