বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ইসরাইল সিরিয়ার সামরিক সম্পদের উপর শত শত হামলা চালিয়েছে। এছাড়া বাফার জোনে সেনা জড়ো করে আন্তর্জাতিক আইনও লঙ্ঘন করেছে তেল আবিব। তবে ইসরাইলের দাবি, তাদের লক্ষ্য সিরিয়ার সামরিক অস্ত্রগুলো শত্রুদের হাতে পড়া থেকে রোধ করা। এমন আবহে ইসরাইলকে সীমান্ত থেকে বাফার জোন এবং মাউন্ট হারম্যান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অভিযোগ করেছেন দেশটির নতুন প্রশাসনের প্রধান আহমেদ আল-শারা। ইসরাইলের কান টিভির খবরে বলা হয়েছে।ইসরাইলি কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তারা এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাননি। তারা বলছে, ইসরাইলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সীমান্তে এবং তার ওপারে সামরিক উপস্থিতি প্রয়োজন।অসমর্থিত সূত্র আরো জানিয়েছে, বিদ্রোহী নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিয়া পুনর্গঠনে মানবিক সহায়তা দিতেও আহ্বান করেছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ও বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। বাশার আল-আসাদের উৎখাতের পর সিরিয়া ভূখণ্ডে এটি ইসরাইলের সর্বশেষ হামলা।শাম এফএম রেডিও স্টেশনের মতে, আলেপ্পোর কাছাকাছি আল-সাফিরাহ শহরের কাছে একটি প্রতিরক্ষা কেন্দ্র এবং একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।আল-সাফিরাহ এলাকার একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেছেন, ইসরাইল প্রতিরক্ষা কারখানায় আঘাত করেছে, পাঁচটি হামলা খুবই শক্তিশালী ছিল। এই হামলায় মাটি কেঁপে উঠে, দরজা এবং জানালা ভেঙে পড়ে। এটা এতো বড় শক্তিশালী আঘাত ছিল, তাতে রাতকে দিন মনে হচ্ছিল।সিরিয়ায় ইসরাইলের হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে, রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা এবং বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।গত মাসে আল-শারা বলেছিলেন, সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর জন্য ইসরাইলের আর কোন অজুহাত থাকতে পারে না। তার ভাষ্য, সিরিয়ার মাটিতে আইডিএফের হামলা লাল রেখা অতিক্রম করেছে এবং এই অঞ্চলে অযৌক্তিক উত্তেজনা বৃদ্ধির হুমকির ক্ষেত্র তৈরি করেছে।