Image description

তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল চীন। শনিবার (৩১ মে) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা সংলাপে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিটার ব্রায়ান হেগসেথ চীনকে ‘আঞ্চলিক হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেওয়ার পরই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়।

চীন জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র যেন তাইওয়ান ইস্যুকে চীনা স্বার্থ রোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, এবং আগুন নিয়ে খেলার ঝুঁকি না নেয়।’

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব হেগসেথ বলেন, চীন ‘যথেষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছে’ যাতে এশিয়ার শক্তির ভারসাম্য বদলে দেওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, চীন তাইওয়ান আক্রমণের অনুশীলন করছে।

উল্লেখ্য, বেইজিং বরাবরই তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে দেখে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে একত্রীকরণের হুমকি দিয়ে আসছে। অন্যদিকে তাইওয়ান জানিয়েছে, কেবল তার জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হেগসেথের বক্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক এবং অপপ্রচারমূলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলে, ‘এই অঞ্চলে শান্তি চায় এমন দেশগুলোর আহ্বান উপেক্ষা করে হেগসেথ পুরনো ঠান্ডাযুদ্ধের (স্নায়ুযুদ্ধ) মানসিকতা সামনে এনেছেন।’

চীন আরও অভিযোগ করে, দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণাত্মক অস্ত্র মোতায়েন করে চলেছে এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে।

‘আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রই এখন সবচেয়ে বড় হুমকি,’ বলেছে বেইজিং।

এদিকে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন এই বছরের শাংরি-লা সংলাপে উপস্থিত ছিলেন না। এটি ২০১৯ সালের পর প্রথমবার, যখন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফোরামটিতে অংশ নেননি (২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিডের কারণে অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছিল)।

চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এরই মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ, শুল্ক আরোপ ও সামরিক উত্তেজনার কারণে চরম টানাপোড়েনে রয়েছে। এই নতুন উত্তাপ তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর ঘিরে দুই পরাশক্তির সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

 

সূত্র: আল জাজিরা।