
ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ কর্তৃক ইরানের দাবিকৃত শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে একটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি সতর্ক করেছেন, যদি কিছু রাষ্ট্র ইরানের ধৈর্যের অপব্যবহার করে তাহলে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
রবিবার আইএইএ সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে দেওয়া একটি গোপন প্রতিবেদনে ইরান তিনটি অঘোষিত স্থানে তার পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং দেশটির ৬০% বিশুদ্ধতা পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এরপরই কাজেম ঘরিবাদি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি দুই দশকেরও বেশি সময় আগে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা কর্তৃক প্রদত্ত একাধিক বানোয়াট তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২২৩১ এর অধীনে ইরানের অতীত পারমাণবিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সমস্ত অভিযোগ বাতিল করা হয়েছে। যা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তিকে সমর্থন করেছিল।
ঘারিবাবাদি আরও উল্লেখ করেছেন, জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রতিবেদনটি আবারও ইরানকে নতুনভাবে রাজনৈতিক শোষণ করার উদ্দেশ্যে পুরানো অপ্রমাণিত বিষয় উত্থাপন করছে।
তিনি বলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না এবং এর কাছে কোনও অঘোষিত পারমাণবিক উপকরণ বা কার্যকলাপ নেই। ইরান এখনও পর্যন্ত তার সমস্ত বাধ্যবাধকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইরান যে মূল্য বহন করেছে তা নির্দিষ্ট শক্তির বলপ্রয়োগ এবং আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার মুখে তার মর্যাদা, সম্মান, অগ্রগতি এবং অটলতা রক্ষার জন্য।
ইরানি এই নেতার হুঁশিয়ারি, যদি এই রাষ্ট্রগুলি ইরানের ধৈর্যের অপব্যবহার করে এবং তাদের ভুল পথে অটল থাকে, তাহলে ইরান বাধ্য হবে অন্যান্য পক্ষের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং পদক্ষেপের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করতে। যার দায়, পরিণতি এবং প্রভাব সম্পূর্ণরূপে সেই রাষ্ট্রগুলির উপর বর্তাবে।