Image description

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বাংলাদেশ থেকে আসামে  অনুপ্রবেশ করেছে বেশিরভাগই প্রতিবেশী দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মানুষ। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা নয়। একথা বলেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি দাবি করেছেন -'যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছে তারা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের শ্রমিক, যারা সেখানে সংকটের কারণে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তারা একই সেক্টরে কাজ করতে এখন  তামিলনাড়ুতে যেতে চায়।

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন , “বাংলাদেশের পরিস্থিতি সেদেশের বস্ত্র শিল্পের পতনের দিকে পরিচালিত করেছে। শ্রমিকরা, যারা সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু আমাদের দেশে সংখ্যালঘু, তারা সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছে। তারা তামিলনাড়ুর টেক্সটাইল শিল্পে যাওয়ার জন্য দেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে এবং এই শিল্পের মালিকরা  সস্তায়  শ্রম পেতে তাদের ভারতে আসতে উৎসাহিত করছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, বাংলাদেশের  হিন্দু সংখ্যালঘুরা সেখানে নৃশংসতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও ভারতে  আসার চেষ্টা করছে না, কারণ তারা "দেশপ্রেমিক"। তারা বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। তাই  গত পাঁচ মাসে কোনো বাংলাদেশি হিন্দু আসামে আসেনি। হিমন্ত বিশ্বশর্মা যোগ করেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। 'বাংলাদেশে অস্থিরতার পর থেকে অনুপ্রবেশ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত পাঁচ মাসে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন আসাম ও ত্রিপুরায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছে। আসাম সরকার এই অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার করছে না বরং তাদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতির পতনের কারণেই মূলত এই অনুপ্রবেশ। আগরতলায় সম্প্রতি নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের (এনইসি) বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথেও আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন। এই বিষয়ে উত্তর পূর্বের রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাথেও আলোচনা করেছেন তিনি 

বাংলাদেশে অস্থিরতার পরে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন সম্পর্কে, শর্মা  বলেন, "আমরা এনআইএ এবং ইন্টেলিজেন্স (ব্যুরো) এর সাথে সমন্বয় করে ওভারটাইম কাজ করছি যার ফলে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসাম এবং অন্যান্য রাজ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আমাদের সন্ত্রাসী সংগঠনের শিকড়ে আঘাত করতে হবে।'