
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি ও মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭ জন। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে আছড়ে পড়া এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসার জানান, শুধুমাত্র তার রাজ্যেই অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, মিসৌরিতে সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, টর্নেডোর আঘাতে ধসে পড়া বহু ঘরের নিচে এখনো অনেকে আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারে জরুরি কার্যক্রম চলছে।
পার্শ্ববর্তী আরও দুটি অঙ্গরাজ্যেও ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা ও নিউইয়র্ক পোস্ট। সেখানে আরও দুজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কেনটাকির লরেল কাউন্টিতে শুক্রবার মধ্যরাতে টর্নেডোর আঘাতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। পুলিশের কর্মকর্তা জন রুট এক বিবৃতিতে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মিসৌরির সেন্ট লুইস শহরের মেয়র কারা স্পেনসার নিশ্চিত করেছেন, তার শহরে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, অন্তত পাঁচ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের শহর আজ গভীর শোক পালন করছে। জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা সত্যিই ভীষণ ভয়াবহ।”
সেন্ট লুইস থেকে প্রায় ২০৯ কিলোমিটার দক্ষিণে স্কট কাউন্টিতেও একটি টর্নেডো আঘাত হানে, সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন অনেকেই, আর অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় বিরূপ আবহাওয়া শুরু হয়, যার জেরে একাধিক টর্নেডো আঘাত হানে। এর প্রভাব পড়ে উইসকনসিনেও। সেখানে গ্রেট লেক অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়েন।
অন্যদিকে, টেক্সাসে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাবে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ দাবদাহ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজ্যজুড়ে অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ নিয়ে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।