Image description
কোন দিক দিয়েই যেনো স্বস্তিতে নেই নরেন্দ্র মোদির দেশ ভারত। প্রতিবেশী প্রায় সব দেশের সাথেই তাদের বিরোধ দৃশ্যমান। এক কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদির সেনারা। যুদ্ধে জড়িয়ে প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয় দেশটির। যা নিয়ে রীতিমতো মোদি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল এখন গোটা ভারত। এর মাঝেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি স্থানের নতুন নাম ঘোষণা করে সেগুলোকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি অরুণাচল প্রদেশ হাতছাড়া হতে যাচ্ছে ভারতের?


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যেনো মরার উপর খাঁড়ার ঘা অবস্থা এখন। একে দেশটির বর্তমান অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। রিজার্ভও গিয়ে ঠেকেছে তলানীতে। আর পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে তো ফকির হবার দশা তাদের। এর মধ্যেই চীনের সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রণালয় গত ১১ ও ১২ মে অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি স্থানের নাম পরিবর্তন করে তা প্রকাশ করে। এসব নামকরণ চীনা ভাষায় করা হয়। অরুণাচল প্রদেশের নাম দেওয়া হয়েছে “জাংনান”।


এদিকে চীনের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে চীনের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে একে ‘অকার্যকর ও হাস্যকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এর আগেও একাধিকবার ভারতের নিয়স্ত্রণাধীন অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করে নামকরণ করেছে চীন। ২০১৭ সালে প্রথম ছয়টি স্থানের নাম প্রকাশ করে চাইনিজরা। এরপর ২০২১ সালে ১৫টি, ২০২৩ সালে ১১টি এবং ২০২৪ সালের এপ্রিলে আরও ৩০টি স্থানের নাম ঘোষণা করা হয় চীনের পক্ষ থেকে।


২০২৪ সালের তালিকায় পাহাড়, নদী, হ্রদ, পর্বত গিরিপথ, আবাসিক এলাকা ও জমিসহ বিভিন্ন ভূ-অবস্থানের নামও দিয়েছিলো তারা। একে পাকিস্তানের পরম মিত্র চায়না আর ভারতের সাথে চীনের বিরোধ চলে আসছে অনেক আগে থেকেই। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদির যেনো এখন রাতের ঘুম হারাম। একদিকে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্ব পাকিস্তানের সাথে আর অন্যদিকে নতুন করে আবার যোগ হলো অরুণাচলকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।