Image description
 

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তুরস্কের ইস্তানবুলে আয়োজিত শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। দেশটির পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন প্রেসিডেনশিয়াল উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মিডিনস্কি। খবর রয়টার্স।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই জানিয়েছেন, পুতিন বৈঠকে আসলে তিনিও সরাসরি অংশ নেবেন। তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে সে ধরনের ‘বিশ্বাসযোগ্য ইঙ্গিত’ আসেনি বলে বুধবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জানান জেলেনস্কি।

তিনি বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ইস্তানবুলের আলোচনায় যোগ দেবেন কেবলমাত্র পুতিন উপস্থিত থাকলে।

 

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পুতিন-জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠক হয়েছিল। সর্বশেষ রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি আলোচনাও হয়েছিল ২০২২ সালের মার্চে, একই শহরে।

 

এই আলোচনার আগে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে অন্তত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। পুতিন রোববার ‘কোনো পূর্বশর্ত ছাড়া’ সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। পরে ট্রাম্পও এ উদ্যোগকে সমর্থন জানান।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার তুরস্কে পুতিনের জন্য অপেক্ষা করব—ব্যক্তিগতভাবে।‘

বর্তমানে কাতারে অবস্থান করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যবর্তীভাবে জানিয়েছেন, পুতিন না এলে তিনিও আলোচনায় অংশ নেবেন না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নিচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এরইমধ্যে তুরস্কে পৌঁছেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং শুক্রবার ইস্তানবুলে পৌঁছাবেন।

রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক শীতলতা ভেঙে ট্রাম্প ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন একসময় চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিল।

রোববার পুতিনের আলোচনার প্রস্তাবের পর ট্রাম্প তার সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের জন্য সম্ভাব্যভাবে একটি মহান দিন।