
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ইসলামাবাদ প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে কাজ করছে। ভারতের সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও বিকল্প নেই।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ইসহাক দার বলেছেন, ‘গত তিন দিনে ভারত যে তামাশা করেছে, তাতে আমরা ভারতকে আধিপত্য দাবি করতে দেব না। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ও সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে এটি ঘটবে না। ‘
তিনি বলেন, ‘আমরা যে অভিযান শুরু করেছি, তার সবই কোনও না কোনোভাবে শেষ হবে। এটি সবই ভারত কী চায় তার উপর নির্ভর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের কোনও বিকল্প ছিল না, তাই নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলার পর আমাদের বেসামরিক সামরিক নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ধৈর্যের প্রয়োজন নেই। আমরা কেবল তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি।’
পাকিস্তানের এই উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত অনেক ধৈর্য দেখিয়েছি। এমন একটি সীমা রয়েছে যা আমরা অতিক্রম করতে পারি না, বিশেষ করে যখন ভণ্ডামি এবং দ্বিমুখী মানদণ্ডের কথা আসে।’
ইসহাক দার বলেন, ‘পাকিস্তানের বেসামরিক সামরিক নেতৃত্ব যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা আনুপাতিক। আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, এবং আমরা এর জন্য প্রস্তুত, তবে এটি এখনই নেওয়া ন্যূনতম পদক্ষেপ যা কিছু সময়ের জন্য অব্যাহত থাকবে। এটি আনুপাতিক এবং পরিমিত। তারা যা করেছে, আমরা তার প্রতিশোধ নিচ্ছি। ‘
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনেও, আমরা আমাদের এলাকায় থেকেছিলাম এবং পাকিস্তানে প্রবেশকারী বিমানগুলোতে আক্রমণ করেছি। যার মধ্যে পাঁচটি আমরা গুলি করে ভূপাতিত করেছি। আক্রমণাত্মক না হওয়ার স্পষ্ট নির্দেশ ছিল। আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং শেষ হয়ে গেছে, এবং যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা প্রতিশোধমূলক এবং প্রতিরক্ষামূলক, বিশ্ব তা দেখতে পাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ওই সময় পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ এও বলেছে, এক্ষেত্রে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সীমান্ত অতিক্রম করেনি তাদের বাহিনী।
পরবর্তীতে নয়াদিল্লি হামলা অব্যাহত রাখলে ভারতেও হামলা চালায় পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোয় অভিযান চালিয়েছে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, এই অভিযানে ফাতেহ-১ মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।