
সম্প্রতি কাশ্মিরের পহেলগায়ে সন্ত্রাসী হামলার জেরে বিনা তদন্তেই পাকিস্তানের ৬টি স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে ভারতেও তাৎক্ষণিক সমুচিত জবাব দিয়েছে পাকিস্তানের সেনারা। পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভূপতিত হয়েছে ভারতীয় রাফায়েল এবং ইজরায়েলি ড্রোনসহ ৫টি বোমারু বিমান। এভাবেই যুদ্ধক্ষেত্রে পুরো সমীকরণ পাল্টে দিল পাকিস্তান। সব হিসাব-নিকাশ ওলট পালট করে পুরো বিশ্বের সুপার পাওয়ারদের তাক লাগিয়ে নতুন করে চিন্তা রেখা জুড়ে দিল তাদের কপালে। এদিকে পাকিস্তানের এই সাফল্যের পেছনে বড় অবদান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে চীনের তৈরি PL-15 BVR (Beyond Visual Range) ক্ষেপণাস্ত্রকে।
যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তানের জন্য গেম চেঞ্জারে পরিণত হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।অত্যাধুনিক এই অস্ত্রটি JF-17 ব্লক ৩ এবং J-10C ফাইটার জেটে যুক্ত হওয়ার পর পাকিস্তান বিমানবাহিনীর শক্তি বেড়ে গেছে বহুগুণে।
প্রথমবারের মতো চীন নির্মিত যুদ্ধবিমান দ্বারা আকাশ-থেকে-আকাশে সংঘর্ষে সাফল্য অর্জন করেছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে, এটিই প্রথমবার যে, বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাফায়েল (Rafale) যুদ্ধবিমান ধ্বংসের প্রথম ঘটনা, যা এই লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেনদের মধ্যে কৌতূহল জেগেছে চীনা এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে। তাই ইনকিলাবের এই বিশেষ আয়োজনে চলুন জেনে নেওয়া যাক চীনা পিএল-১৫ সম্পর্কেঃ
থান্ডারবোল্ড/ পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র কী?
পিএল-১৫ (Thunderbolt-15) একটি দূরপাল্লার আকাশ-থেকে-আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এটি উন্নত AESA রাডার গাইডেন্স সিস্টেমের সাহায্যে শত্রু বিমানকে শত শত কিলোমিটার দূর থেকে টার্গেট করতে পারে। মার্কিন AIM-120D AMRAAM এবং ফরাসি Meteor ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে তৈরি এই PL-15 চীন ২০১৬ সালে প্রথম প্রকাশ করে এবং এরপর থেকেই এটি দেশটির সামরিক বাহিনীতে সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কেন পিএল-১৫ এতটা গুরুত্বপূর্ণ?
মূলত এই ক্ষেপণাস্ত্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দূরপাল্লার লড়াইয়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। শত্রু বিমান হামলা করার আগেই এমনকি দেখতে পাওয়ার আগেই ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে PL-15। এছাড়া ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ও রাডার জ্যামিংয়ের মধ্যেও এটি কার্যকরভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
পিএল-১৫ বনাম রাফায়েল কে এগিয়ে?
ভারতের রাফায়েল যুদ্ধবিমান যুক্ত হয়েছেন মিটিওর (Meteor) ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে, যার পাল্লা আনুমানিক ১৫০–২০০ কিমি। অপরদিকে পিএল-১৫ এর পরিসর ২০০–৩০০ কিমি,এমনকি বিশেষ পরিস্থিতিতে এই দুরত্ব ৪০০ কিমি পর্যন্তও হতে পারে বলে দাবি করা হয়। ফলে, প্রথমে আঘাত হানার ক্ষেত্রে পিএল-১৫ বড় সুবিধা দিতে পারে।
পিএল-১৫ এর দাম ও কার্যকারিতা কেমন?
পিএল-১৫—এর আনুষ্ঠানিক দাম প্রকাশ না হলেও ধারণা করা হয় এটি পশ্চিমা সমমানের ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় অনেক সস্তা। চীনের স্বল্প খরচের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবস্থার কারণে এই ধরনের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তুলনামূলকভাবে কম খরচে পাওয়া যাচ্ছে।