
পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি স্থানে বুধবার ভোররাতে প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ভারত সরকার জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোর ওপর লক্ষ্যভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই হামলা ছিল সম্পূর্ণরূপে লক্ষ্যনির্ভর, পরিমিত এবং উত্তেজনা না বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “অপারেশন সিন্দুর-এর মাধ্যমে যেসব স্থানে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল। পাকিস্তানি কোনো সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি, এবং অপারেশনের পদ্ধতি নির্ধারণে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।”
বিস্ফোরণের ফলে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এসব বিস্ফোরণের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যায়নি।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এআরওয়াই-কে জানিয়েছেন, “ভারত পাকিস্তানের তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। পাকিস্তান এর উপযুক্ত জবাব দেবে।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর এক প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, তাদের গোয়েন্দা সূত্রে আগেই জানা ছিল যে ভারত এমন কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
এই ঘটনার পর দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সূত্র: রয়টার্স