Image description

ইসরায়েলে নজিরবিহীন মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আছড়ে পড়েছে। সারা দেশজুড়ে মিসাইল সতর্কতা সাইরেন বাজছে, আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটেছেন লাখো বাসিন্দা।

শনিবার সকাল থেকেই আকাশে একের পর এক মিসাইল ছুটে আসে ইয়েমেন থেকে। ইসরায়েলি বাহিনী প্রথম মিসাইলটি সীমানা পার হওয়ার আগেই নিষ্ক্রিয় করার দাবি করলেও বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতা তাদের ব্যর্থতা স্পষ্ট করে দেয়।

এর এক ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি মিসাইলের আঘাতে শহরজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, ১৫ লাখের বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটেছেন।

শুক্রবার রাতেও ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফা এবং রামাত ডেভিস সামরিক ঘাঁটি ছিল হামলার লক্ষ্য। বিশেষ করে হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক মিসাইলের আঘাতে রামাত ডেভিসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। জ্বলন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়ে ঘাঁটির বিভিন্ন স্থানে।

ইয়েমেনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী এই হামলাকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব বলে দাবি করেছে। তারা মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে। গাজা অবরুদ্ধ থাকলে ইসরাইলে হামলা অব্যাহত থাকবে, বলেও ঘোষণা দিয়েছে তারা।

এই গোষ্ঠী মার্কিন সামরিক উপস্থিতিকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছে, বেসামরিক ইয়েমেনিদের ওপর হামলা বন্ধ না করলে আমেরিকান বাহিনীর বিরুদ্ধেও জবাব আসবে। একইসঙ্গে দাবি করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তা সত্ত্বেও ইয়েমেনি যোদ্ধাদের মিসাইলের শক্তি ও পরিমাণের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই ইসরায়েলের কাছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, এক মাসে প্রায় ৩০টির মতো মিসাইল আঘাত হেনেছে। এমনকি ইসরায়েলের প্রতিটি কোণই এখন ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Z3C9aXF-PgA