
ইসরায়েলের অবরোধ ও টানা হামলার ফলে গাজা উপত্যকায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে অন্তত ৫৭ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন এক শিশুকন্যা জানান সালেহ আল-সাখাফি, যিনি গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চলের রান্তিসি হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় মারা যান।
আল-জাজিরার গ্রাউন্ড রিপোর্ট অনুযায়ী, জানানের মৃত্যু ইসরায়েলি অবরোধের ভয়াবহ মানবিক চিত্রের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। গাজার সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এই মৃত্যু আরও অনেকের মৃত্যুর পূর্বাভাসমাত্র। অবরোধ প্রত্যাহার না হলে মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়বে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫২,৪৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১১৮,৩৬৬ জন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই সংখ্যা সংশোধন করে নিহতের সংখ্যা ৬১,৭০০-র বেশি বলেছে, যাদের অনেকেই এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন এবং নিখোঁজ হিসেবেই বিবেচিত।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী শুক্রবার রাতে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত দুই বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা সিরিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটি, আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনা এবং ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে।
এই সব কিছুর পটভূমিতে, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গাজার সীমান্ত দ্রুত খুলে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, এই অবরোধ শুধু বোমা আর গুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়—এটি এখন একটি ক্ষুধার যুদ্ধ, যেখানে শিশুরা মৃত্যুর মুখে পড়ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো আক্রমণে ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২০০-র বেশি ব্যক্তি অপহৃত হন, যার পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে।
তথ্যসূত্রঃ আল জাজিরা