
দক্ষিণ ফ্রান্সের একটি মসজিদের ভেতর নামাজরত এক তরুণকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে গ্র্যান্ড কম্বের খাদিজা মসজিদের ভেতরে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আইসিআই-এর মতে, আলেসের পাবলিক প্রসিকিউটর গ্রিনি বলেছেন, নামাজের সময় যখন ভিকটিমকে আক্রমণ করা হয়, তখন শুধু ওই দুই ব্যক্তি মসজিদে ছিলেন।
ভুক্তভোগীকে অন্তত ৫০বার ছুরিকাঘাত করা হয় বলে জানিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারানো তরুণ মালির নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া বলছে, স্থানীয় একজন প্রসিকিউটর সোমবার (২৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ ফ্রান্সের একটি মসজিদে এক তরুণ মালিয়ানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং তার যন্ত্রণায় কাতরানোর ভিডিও করার অভিযোগে এক ব্যক্তি ইতালিতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
মামলার দায়িত্বে থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আলেসের প্রসিকিউটর গ্রিনি জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি, ‘অলিভিয়ার এ’, যিনি ২০০৪ সালে লিওঁতে জন্মগ্রহণকারী একজন ফরাসি নাগরিক, রোববার (২৭ এপ্রিল) ফ্লোরেন্সের কাছে পিস্তোইয়ার একটি পুলিশ স্টেশনে আত্মসমর্পণ করেন।
সীমান্ত পেরিয়ে ফ্রান্সে তাকে স্থানান্তরের জন্য একটি ইউরোপীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রসিকিউটর।
এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক্সে দেয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং ঘৃণার কোনো স্থান থাকতে পারে না। উপাসনার স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হতে পারে না।’
এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক্সে দেয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং ঘৃণার কোনো স্থান থাকতে পারে না। উপাসনার স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হতে পারে না।’
শুক্রবার খাদিজা মসজিদের ভেতরে ছুরিকাঘাতে নিহত ওই তরুণ মুসল্লির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং এ ঘটনার প্রতিবাদে দক্ষিণ ফ্রান্সের লা গ্র্যান্ড-কম্বে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বহু মানুষ।