Image description
 

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ইসা তেলবন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জন হয়েছে। দেশটির সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হুথিদের বরাতে স্থানীয় আল মাসিরাহ টিভি এ খবর প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার চালানো এ হামলায় আরও ১২৬ জন আহত হয়েছে বলে হোদাইদা স্বাস্থ্য দপ্তরের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলার লক্ষ্য ছিল হুথিদের জ্বালানি ও অর্থের উৎস ধ্বংস করা। এটি ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর একটি বলে মনে করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ‘হুথি সন্ত্রাসীদের’ জ্বালানির উৎস ধ্বংসে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুথিদের অর্থনৈতিক শক্তির উৎস দুর্বল করা।”

আলজাজিরার প্রতিবেদক মোহাম্মদ আল-আত্তাব ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে জানান, আমেরিকার বিমান হামলায় বিভিন্ন এলাকা লক্ষ্যবস্তু হলেও সবচেয়ে বেশি হামলা হয় রাস ইসা বন্দরের আশপাশে। তিনি বলেন, প্রথম চারটি বিমান হামলা হয়। এই হামলা এমন সময় হয় যখন শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন।

হামলাগুলো এতটাই হঠাৎ হয়েছিল যে বন্দরে উপস্থিত কর্মচারী ও ট্রাকচালকেরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আক্রান্ত হন। আল-আত্তাব আরও জানান, বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি এবং রাস ইসা বন্দরের কৌশলগত গুরুত্বের কারণে ইয়েমেনজুড়ে এই হামলার ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ইয়েমেনের মোট আমদানির প্রায় ৭০ শতাংশ এবং মানবিক সহায়তার প্রায় ৮০ শতাংশ আসে রাস ইসা, হোদেইদা ও আস-সালিফ বন্দরের মাধ্যমে।

আল মাসিরাহ টিভির সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার ভোরে রাস ইসা বন্দর এলাকায় বিশাল বিস্ফোরণে আকাশ আলোকিত হয়ে উঠছে। পরে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসস্তূপ, জ্বলন্ত অগ্নিকাণ্ড এবং এক বেসামরিক নিহত ব্যক্তির গ্রাফিক ছবি দেখানো হয়।

পোস্টটির সঙ্গে যুক্ত আরবি ভাষার ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘রাস ইসা তেলবন্দরে আমেরিকার আগ্রাসনের অপরাধের প্রাথমিক দৃশ্য, যেখানে একাধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং বন্দরের বহু শ্রমিক ও কর্মচারী আহত হয়েছেন।’