Image description
 

প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি রপ্তানিতে চীনের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। দেশটি থেকে বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম বাংলাদেশে আসছে।সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিকস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।একটি গবেষণাপত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের সামরিক প্রযুক্তি রপ্তানি করেছে। ন্যাশনাল ইমেজ অব চায়না ইন বাংলাদেশ নামের একটি গবেষণাপত্রে এমন দাবি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের চীন সফরকে সামনে রেখে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। আজ তিনি চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, চীন ছোট ও মাঝারি আকারের অস্ত্র যেমন রকেট, রকেট লঞ্চার, ম্যানপ্যাড, হালকা ইউটিলিটি যানবাহন ইত্যাদির জন্য বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডে প্রযুক্তি হস্তান্তর করেছে।

 

এর আগে ২০১২ সালে, চীনের সহায়তায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডে প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে প্যাট্রোল জাহাজ নির্মাণ করে। এরপর এটিকে নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।এছাড়া ২০১৪ সালে, দুই দেশ সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে চারটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার মধ্যে একটি ছিল একটি চুক্তি যেখানে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ এবং সরবরাহসহ সামরিক সহায়তা প্রদান করবে।আরেকটি চুক্তিতে বলা হয়েছে, পিএলএ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসে একটি ভাষা ল্যাব স্থাপনে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পুরনো যুদ্ধবিমানগুলো আপগ্রেড করার কথা বিবেচনা করছে বলে মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে চীনের J-10C একটি ভালো বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন বা প্রজন্মের এই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান দেশের বহরে একটি ব্যয়বহুল সংযোজন হতে পারে। এছাড়া এটি চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

 

প্রতিরক্ষা সংবাদ ওয়েবসাইট ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইং অনুসারে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল হাসান মাহমুদ খান গত বছরে চীন সফর করে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তার দেশ বহুমুখী যুদ্ধবিমান এবং আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার কেনার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরপর এমন মূল্যায়ন করা হয়েছে।প্রতিবেদনে আরও সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আপগ্রেডের প্রথম পর্যায়ে প্রথম ধাপে ১৬টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান (জে-১০ সি-এর রপ্তানি সংস্করণ) ফাইটার কেনার কথা বিবেচনা করছে।দেশটিতে সফরকালে বিমান বাহিনীর প্রধান চীনের প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্যিক বিমান প্ল্যাটফর্মের বৃহত্তম প্রদর্শনী ঝুহাই বিমান প্রদর্শনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি চীনের জাতীয় বিমান-প্রযুক্তি আমদানি ও রপ্তানি কর্পোরেশন (CATIC) এর সদর দপ্তরও পরিদর্শন করেন