
রোববার (১৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পডকাস্ট হোস্ট লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদি এসব কথা বলেন। তার মতে, জাতিসংঘ এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ‘প্রায় অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়েছে, কারণ তাদের মধ্যে ‘কোনো সংস্কার’ আর বাকি নেই।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা তৈরি হয়েছিল, সেগুলো প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে, সেগুলোতে কোনো সংস্কার নেই। জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। বিশ্বের যেসব মানুষ আইন-কানুনকে গুরুত্ব দেয় না, তারা সবকিছু করছে, কেউ তাদের থামাতে পারছে না।’
করোনা মহামারি থেকে পাওয়া শিক্ষার কথাও তুলে ধরেন মোদি, যা প্রতিটি দেশের দুর্বলতা উন্মোচিত করে এবং বৈশ্বিক সংকটের সময় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল।
লেক্স ফ্রিডম্যানকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন,
কোভিড-১৯ আমাদের সবার সীমাবদ্ধতা উন্মোচিত করে দিয়েছে। আমরা নিজেদেরকে যতই মহান জাতি, খুব প্রগতিশীল, খুব বৈজ্ঞানিকভাবে উন্নত মনে করি না কেন; কোভিড-১৯ এর সময়ে আমরা সবাই, বিশ্বের প্রতিটি দেশ মাটিতে নেমে এসেছে।
‘তখন মনে হচ্ছিল, পৃথিবী এর থেকে কিছু শিখবে, আর আমরা এক নতুন বিশ্বব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, পরিস্থিতি এমন ছিল যে শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পৃথিবী ভেঙে পড়েছিল, অনিশ্চয়তার এক সময় আসে এবং যুদ্ধ আরও সংকট তৈরি করে,’ বলেন মোদি।
প্রসঙ্গত, গত বছর নরেন্দ্র মোদি জাতিসংঘের ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’-এ তার ভাষণে, পরিবর্তনের জন্য একটি স্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছিলেন। উল্লেখ করেছিলেন, সংস্কার হলো প্রাসঙ্গিকতার চাবিকাঠি।
কয়েক দশক ধরে, ভারত যুক্তি দিয়ে আসছে যে তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার যোগ্য। নয়াদিল্লি বলছে, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ১৫-জাতির কাউন্সিল একবিংশ শতাব্দীতে তার উদ্দেশ্যের জন্য উপযুক্ত নয় এবং সমসাময়িক ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতাও প্রতিফলিত করে না।