Image description
 

যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। যার ফলে ওয়াশিংটন পুনরায় কিয়েভকে সমারিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করতে সম্মত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশ দুটি। খবর রয়টার্সের। 

সৌদি আরবের জেদ্দায় ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন রাশিয়ার কাছে প্রস্তাবটি উত্থাপন করছে। পুরো বিষয়টি এখন মস্কোর হাতে। ’

রুবিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আশা, রাশিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘‘ইতিবাচক উত্তর’’ দেবে, যাতে আমরা এর দ্বিতীয় পর্যায়ে যেতে পারি; যা প্রকৃত আলোচনা। ’

 

তিন বছর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।  অগ্রগতিশীল রাশিয়া এখন ইউক্রেনের প্রায় এক পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের অধিকারী, যার মধ্যে ক্রিমিয়াও রয়েছে, যা তারা ২০১৪ সালে দখল করেছিল। 

রুবিও বলেছেন, ওয়াশিংটন রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি চায়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিদিনই এই যুদ্ধ চলতে থাকে, মানুষ মারা যায়, বোমা হামলা হয়, এই সংঘাতের উভয় পক্ষের মানুষ আহত হয়। ’

যদিও মস্কো কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।  তবে তিনি এবং তার কূটনীতিকরা বারবার এও বলছেন, তারা যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে এবং রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা রক্ষাকারী একটি চুক্তি চান।

মঙ্গলবার মার্কিন-ইউক্রেন আলোচনার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেবল বলেছে, তারা মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি।

এদিকে সৌদি আরবে উপস্থিত থাকলেও আলোচনায় অংশ নেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।  তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি একটি ‘ইতিবাচক প্রস্তাব’, যা কেবল আকাশ ও সমুদ্রপথে লড়াই নয়, সম্মুখ যুদ্ধও এর অন্তর্ভুক্ত।