
মিয়ানমারের মিয়াওয়াড্ডিতে অপরাধী চক্রের দখলে থাকা স্ক্যাম সেন্টার বা ক্যাম্পগুলোয় অভিযান চালিয়ে গেল মাসে সাত হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়। তবে সেখান থেকে তারা মুক্তি পেলেও ফের আটকা পড়েছেন দেশটির সীমান্তে। হাজার হাজার মানুষকে অসুস্থ, ক্লান্তভাবে মুখোশ পরিহিত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গেছে। তাদের কখন নিজ দেশে পাঠানো হবে, তার ঠিক নেই।
ভারতীয় এক যুবক জানিয়েছেন, আরও ৮০০ জনকে তার মতো একই স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের ১০টি নোংরা টয়লেট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানকার অনেকেই জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, আমরা যদি এখানে স্বাস্থ্যগত সমস্যা নিয়ে মারা যাই, তবে এর জন্য কে দায়ী?
যেসব সশস্ত্রগোষ্ঠী এসব মানুষকে আটকে রেখেছেন তাদের সঙ্গে সীমান্তের ওপারে থাই কর্মকর্তারাও বলছেন, তারা আটক ব্যক্তিদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র সরকারের পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছেন।
আধুনিক ইতিহাসে জোরপূর্বক শ্রমিকদের উদ্ধারের সবচেয়ে বড় অভিযানগুলোর মধ্যে এটি একটি। সম্প্রতি চীন, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার যৌথভাবে সীমান্তে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে অভিযান শুরু করে যা এখনও চলমান রয়েছে। প্রতিবেদন মতে, উদ্ধার হওয়ার ৭ হাজার জনের মধ্যে ৪ হাজার ৮৬০ জন চীনা নাগরিক, ৫৭২ ভিয়েতনামের ও ৫২৬ জন ভারতীয় আছে। এছাড়া পাঁচশোর বেশি আফ্রিকান নাগরিকও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিস ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, এই সাত হাজার মানুষ এই অঞ্চল জুড়ে একই ধরনের জালিয়াতি কার্যক্রমে কর্মরত তিন লাখ মানুষের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং বিশ্লেষকদের মতে, এই অবৈধ জালিয়াতি পরিচালনাকারী নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা