
সন্তানের জন্ম দেওয়া যে কোনো দম্পতির কাছে আনন্দের বিষয়। সন্তান ব্যক্তির ভবিষ্যৎ, ভালোবাসার ফসল এবং উত্তরাধিকার হিসেবে পৃথিবীতে তার অস্তিত্বের ধারা এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই নারী এবং পুরুষ উভয়ের কাছেই সন্তান হলো পরম আকাঙ্ক্ষার নাম। ঘরে নতুন সদস্যের আগমনে সুখে ভরে ওঠে সংসার। তাই কোনো দম্পতি সন্তান জন্মদানের এই সুখ থেকে বঞ্চিত হতে চায় না।
তবে দুবাইয়ের এক গৃহবধূ সম্প্রতি সবাইকে চমকে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, বিনামূল্যে তিনি সন্তানের জন্ম দিতে রাজি নন। তাই স্বামীর কাছ থেকে সন্তান জন্মের শর্তে ৪৬ কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ওই নারীর নাম মালাইকা রাজা। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই নারী দুবাইয়ে বসবাসকারী এক ধনকুবেরের স্ত্রী। মালাইকা জানিয়েছেন, তিনি তার দ্বিতীয় সন্তান জন্মের আগে স্বামীকে একটি শর্ত দিয়েছিলেন। তা হলো- দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দিলে তাকে ৪৬ কোটি টাকা দিতে হবে। এতে হাসিমুখে রাজিও হয়ে যান স্বামী। মালাইকা দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ৪৬ কোটি টাকা দিয়ে দেন তার স্বামী।
দুই সন্তানের মা মালাইকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি স্বীকার করেছেন, তিনি টাকার জন্যই ওই যুবককে বিয়ে করেছেন। কারণ তিনি বিলাসি জীবনযাপন পছন্দ করন। মালাইকা ২০১৭ সালে এই ধনকুবেরকে বিয়ে করেন। তিনি নিজের এবং তার সন্তানের জন্য এই ৪৬ কোটি টাকা খরচ করেছেন।
সন্তানের জন্ম দিয়ে নেওয়া টাকা থেকে তিনি একটি গোলাপি রঙের জি-ওয়াগন গাড়ি কিনেছেন। সেই গাড়ি করে তিনি তার মেয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান। এ ছাড়া প্রায় ২১ কোটি টাকার একটি বাড়ি কিনেছেন। ১ কোটি ২ লাখ টাকার ৮টি ব্যাগ, ৯৮ লাখ টাকার গয়না এবং তার মেয়ের জন্য পোশাক কিনেছেন বলে জানিয়েছেন মালাইকা।
মালাইকা নিয়মিত তার লাইফস্টাইল নিয়ে তৈরি ভিডিও শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্সটাগ্রামে। তার ইন্সট্রা অ্যাকাউন্টে এক মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। তার বেশিরভাগ ভিডিও থাকে বিলাসবহুল জীবনযাত্রা ও সন্তানকে নিয়ে। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে তিনি সন্তান জন্মদানের শর্তে স্বামীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা শেয়ার করেছেন।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারি লিখেছেন- স্ত্রীকে এত টাকা দেওয়া ঠিক হয়নি। কারণ যে কোনো সময় তার মাথায় বাঁকা বুদ্ধি আসতে পারে। অন্য আরেকজন লিখেছেন- স্ত্রীর প্রতি অগাধ বিশ্বাস আর ভালোবাসার কারণই সম্ভবত এত বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছেন ওই যুবক।