
ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। আজ তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ১০ বছর ধরে গাজায় জিম্মি থাকা এক ইসরায়েলি রয়েছেন।
শনিবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের আন্তর্জাতিক হস্তান্তর করেছে হামাস। তবে এজন্য কোনো আড়ম্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। দীর্ঘ ১০ বছর পর ফিলিস্তিন থেকে হিশাম আল সাইদ মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।
আলজাজিরা জানিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী হিশা বেদুইন ইসরায়েলি। তিনি ২০১৫ সালের এপ্রিলে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছিলেন। এরপর তাকে বন্দি করে হামাস। আজ উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের একটি স্থানে তাকে হস্তান্তর করা হবে।
হিশামের পরিবার জানিয়েছে, আমাদের পরিবার ১০ বছর পাঁচ মাস অকল্পনীয় যন্ত্রণা সহ্য করেছে। এই সময়ে, তার ফিরে আসার জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু এতোদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।
এর আগে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানায়, শনিবার এলিয়া কোহেন, ওমের শেম-টভ, ওমের ওয়েঙ্কার্ট, তাল শোহাম, আভেরা মেঙ্গিস্তু এবং হিশাম আল-সাইদ নামে ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে তারা মুক্তি পাবেন।
এর আগে জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় শেষ হবে।
এ চুক্তির ফলে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবেন। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এছাড়া, মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।