
হ্যাকাররা নিরাপত্তাজনিত ত্রুটিকে কাজে লাগিয়ে ক্রিপ্টো স্থানান্তর করে। চুরির পর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ইথেরিয়ামের মূল্য ৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ৬৪১ দশমিক ৪১ ডলার দাঁড়ায়।
ইথেরিয়াম ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার (১ দশমিক ১ পাউন্ড) ডিজিটাল কয়েন বা ক্রিপ্টো চুরি করেছে হ্যাকাররা। যা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো চুরির ঘটনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি ফার্ম বাইবিট। খবর বিবিসি
দুবাইভিত্তিক এই ফার্মটির প্রতিষ্ঠাতা বেন ঝো জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। কোম্পানির তহবিল বা অংশীদারদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এই ক্ষতি পূরণ করা হবে। বাইবিটের ২০ বিলিয়ন ডলার (১৫ বিলিয়ন পাউন্ড) সম্পদ রয়েছে।
হ্যাকাররা নিরাপত্তাজনিত ত্রুটিকে কাজে লাগিয়ে ক্রিপ্টো স্থানান্তর করে। চুরির পর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ইথেরিয়ামের মূল্য ৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ৬৪১ দশমিক ৪১ ডলার দাঁড়ায়। এই চুরির পরিমাণ ২০২২ সালে রোনিন নেটওয়ার্ক থেকে ৬২০ মিলিয়ন ডলার (৪৯০ মিলিয়ন পাউন্ড) মূল্যের ইথেরিয়াম ও ইউএসডি কয়েন চুরির রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বাইবিট জানায়, বিশ্বব্যাপী তাদের ৬ কোটি ব্যবহারকারী আছেন। তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ক্ষেত্রে বাইবিট যথেষ্ট স্বনির্ভরশীল। আমরা এই ক্ষতি পুষয়ে নিতে পারব।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। হ্যাকারদের শনাক্ত করতে কাজ করছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও, এর মূল্য শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় অনেকেই এর সমালোচনা করেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সির নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব ডিজিটাল কয়েন ট্রাম্প চালু করেছেন, যা প্রথমদিকে উচ্চমূল্য পেলেও পরে এর মূল্য কমে যায়।