Image description

ভূমিকম্পে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী। তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা নিয়ে ডাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও ডাকসুর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাসে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে তারা নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ নিয়ে পৃথক বক্তব্য প্রকাশ করেন।

রাতে দেওয়া স্ট্যাটাসে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান দাবি করেন, ভূমিকম্পে আহত ঢাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেলের ওয়ার্ড থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ডাক্তাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ডাক্তাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের রিপোর্টও দেখে যথাযথ পরামর্শ দিয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্ট্যাটাসে তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।

এর জবাবে স্ট্যাটাসটি শেয়ার করে প্রতিক্রিয়া জানান ডাকসুর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ। তিনি নিজের স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ডাইরেক্টরের সাথে কথা বলে কেবিন ম্যানেজ করলাম আমি—মেসেজিং প্রুফ আছে। সকাল থেকে অতিরিক্ত ডাক্তার দিয়ে সেবা নিশ্চিত করা, প্লাস্টার এনশিওর করা, সিট কনফার্ম করা থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করেছে ডাকসুর কয়েকজন।’

তিনি লেখেন, ‘গিয়ে ফুটেজবাজী করেন করেন, কিন্তু ক্রেডিট নিলেন জিয়া ফাউন্ডেশনের। দেখতে যাওয়াকে স্বাগত জানাই, কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে বলেন জিয়া ফাউন্ডেশন আসলে তাদের জন্য কী করছে?’

পরবর্তীতে নিজের স্ট্যাটাসে মন্তব্য করে আবিদ লেখেন, সন্ধ্যায় ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে আহত তানভীরের ক্ষোভ দেখে তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডাক্তাররা দ্রুত সাড়া দিয়ে কেবিনের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে জানান। 

তিনি তানভীরসহ আহত তিন শিক্ষার্থীর বিষয়েই গুরুত্ব দেন এবং তাদের জানিয়ে আসেন যে রাত ১০টায় ডাক্তার এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আবিদের দাবি—ডাক্তাররা তার ডাকে দ্রুত সাড়া দিয়েছেন, আর যারা এতে সহায়তা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানানোটাই স্বাভাবিক। তিনি লেখেন, ‘দুর্যোগে একে অপরের পাশে থাকা মানবতা, এটাকে নিয়ে নোংরামি করা উচিত নয়।’

এদিকে আবিদের এই মন্তব্যের জবাবেও প্রতিক্রিয়া জানান মিনহাজ। তিনি লেখেন, ‘আমি আপনার ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছি। নিজে হাতে ফাইল নিয়ে গিয়ে কেবিন নাম্বার লিখে এনেছি। ফাইল হাতে আপনার ডাক্তারদের সাথে দেখা হলে ওনারা অবাক হয়েছেন। অফিস টাইমের বাইরে গিয়ে ভিআইপি কেবিন ম্যানেজ হয়েছে। স্পষ্টত আপনি মিথ্যাচার করছেন।’

প্রসঙ্গত, ঢাবির মুহসিন হলে ৬ জন, জিয়া হলে ৩ জন, বিজয় ৭১ হলে ২ জন, জহুরুল হক হলে ২ জন, এফআর হলে ২ জন, রোকেয়া, শামসুন্নাহার, মৈত্রী, সূর্যসেন, এফ এইচ, জসিমউদদীন হল ১জন করে আহত হয়েছেন। মোট ২১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে তিনজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে তিনজন ভর্তি আছেন। বাকিরা প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।