মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এ রায় একসঙ্গে বসে দেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাবি ভিসির কার্যালয়ে বসে তারা এ রায় দেখেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষার রূপান্তর : একটি কৌশলগত রোডম্যাপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিতে সালাহউদ্দিন সেখানে যান। সেমিনার শেষে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করতে তার কার্যালয়ে যান।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। সেখানে একই সাথে উপস্থিত থেকে শেখ হাসিনার রায় ঘোষণা দেখেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স ও ছাত্রদল ঢাবি শাখা সভাপতির গণেশ চন্দ্র সাহস।
রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ রায় মাইলফলক। অপরাধ বিবেচনায় এ সাজা যথেষ্ট না হলেও আগামীতে কোনো সরকার বা কোনো ব্যক্তি যেন ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে তার জন্য উদাহরণ হবে এ রায়। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, ফ্যাসিবাদ যত শক্তিশালী হোক, যতই ক্ষমতা দখলে রাখুক, তাদের একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাকে আজ মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অন্য দুই আসামির মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং রাজসাক্ষী বনে যাওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।