২০২৪ সালের ৪ আগস্ট। দেশজুড়ে উত্তাল পরিস্থিতি। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের মাত্র একদিন বাকি। সেদিনও এই স্বৈরাচারকে টিকিয়ে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রেজিস্ট্রার ভবনের অভ্যন্তরে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ থেকে ৪০ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সেসময় যারা তাদের মিছিলে যোগ দেয়নি, যাদেরকে রুমে বসে থাকতে দেখেছে সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত এই মিছিলের নেতৃত্বের সামনের সারিতে ছিলেন তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রুহুল আমিন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে পদ ছাড়তে হলেও এখনও স্বপদে বহাল আছেন রুহুল আমিন। এক বছরের বেশি সময় ধরে ঢাবির বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পিএস (ডেপুটি রেজিস্ট্রার) হিসেবে আছেন তিনি। রুহুল আমিন ঢাবি পেশাজীবী লীগের বর্তমান সভাপতি বলে জানা গেছে।
আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) টাকার হিসেবে চাইতে কোষাধ্যক্ষের অফিসে গেলে মুহাম্মদ রুহুল আমিনের প্রসঙ্গটি তুলেন উপস্থিত ডাকসুর নেতারা।
এসময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি যুবায়ের বলেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সূচনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখানেই ফ্যাসিস্টের দোসর যিনি ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রেজিস্ট্রার ভবনে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন। ৫ আগস্টেরে পর তাকে পুুলিশে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এখন কোষাধ্যক্ষ স্যার বলছেন, তাকে ছাড়া অফিস চলবে না। যাদের হাতে রক্ত লেগে আছে তারা কীভাবে বহাল তবিয়তে থাকতে পারে? তাকে এই মুহূর্তে পুলিশে দিতে হবে।
এর আগে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা আগের রেজিমের সবাইকে চেঞ্জ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার এই চেঞ্জের জন্য যে ধরনের লোক দরকার, আমি সেই লোক খুঁজে পায়নি। তাকে (রুহুল আমিন) ছাড়া আমার অফিস চালানো যাবে না।