Image description

আনন্দে সারা রাত ঘুমাইনি৷ শুধু অপেক্ষায় ছিলাম কখন রাত পোহাবে৷ আর ভোর হলেই ষোলশহর থেকে শাটল ধরব। অবশেষে সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিতে পেরে সত্যিই পূজোর আনন্দ হচ্ছে।

বুধবার সকালে ভোট প্রদান শেষে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ডচিংনু চৌধুরী।

তিনি বলেন, অনেক উৎসাহ কাজ করছে আমাদের মধ্যে৷ সারা রাত বন্ধুরা আড্ডা দিয়েছি। কে কাকে ভোট দেব এসব নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কেন কাকে ভোট দিব সেসব নিয়েও আমরা কথা বলেছি। যাদেরকে ভোট দেব বলে ঠিক করেছি তাদের ইশতেহার, লিফলেটগুলো যত্ম করে নিয়েছি। যেন ব্যালট নম্বর ভুলে না যায়। শান্তিপূর্ণভাবে নিজের ভোটটি দিতে পেরে আমি আনন্দিত।

শাটল থেকে নামার পর কথা হয় চবির আরেক শিক্ষার্থী আয়শা আক্তারের সাথে৷ তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে। বলতে গেলে ভোটার হওয়ার পর থেকে এই বয়সে আর ভোটই দেয়া হয়নি। বিগত প্রত্যেকটি নির্বাচন একতরফা, রাতের বেলা কারচুপির ভোট হয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের ভোটের আবেগকেও ধ্বংস করেছে। তাই এবার চাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে অনেক বেশি আনন্দিত। আনন্দে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।

শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম জানান, আমরা চাই ছাত্রদের প্রতিনিধি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে যাক৷ তারা আমাদের দাবি, অধিকার নিয়ে কথা বলুক। কোনো দলের হয়ে তারা কাজ না করুক।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে প্রথম এক ঘণ্টায় তেমন ভোট কাস্ট হয়নি বলে জানা গেছে। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ব্যালট প্রদানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলছেন৷ ভোটগ্রহণের নানা প্রস্তুতি সারছেন তারা। এতে বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ সারি পড়ে গেছে। সমাজবিজ্ঞান, সায়েন্স, নতুন কলা ভবন, বিবিএসহ মোট পাঁচটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে ক্যাম্পাস ও আশেপাশের এলাকায়। এবারের চাকসু নির্বাচনে ২৭ হাজার ৫০০ ভোটার রয়েছে।