বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স বহির্ভূতভাবে নিয়মিত মাস্টার্সে পুনঃভর্তির অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজের বিরুদ্ধে। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্সে পুনঃভর্তি হন। পরে তার পুনঃভর্তির বিষয়ে ভুল স্বীকার করে ভর্তি বাতিলের চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার পারভেজের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে পুনঃভর্তির চিঠি দেওয়া হয়। এই চিঠি ভুলঃবশত প্রদান করায় চিঠির কার্যকারিতা বাতিল করা হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক শাখা ও বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার পারভেজ ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে পরিসংখ্যান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন। তিনি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্সে ভর্তি হন। পরে তিনি পারিবারিক সমস্যার কারণে কোর্স সম্পন্ন করতে পারেননি উল্লেখ করে বিভাগের সভাপতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে পুনঃভর্তির আবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির ১৯৩তম সভায় তাকে বিশেষ বিবেচনায় পুনঃভর্তির সুপারিশ করা হয়। পরে সেটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে গেলে অ্যাকাডেমিক অর্ডিন্যান্সের পুনঃভর্তি ধারা ১৫(ক) অনুযায়ী এমএসসি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে পুনঃভর্তির সুযোগ নেই উল্লেখ করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বলা হয়। পুনঃভর্তির অনুমোদন দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স বহির্ভূত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ পরে তা স্থগিত করে দেন।
এ বিষয়ে আনোয়ার পারভেজ বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে আমি সেই সময় পরীক্ষা দিতে পারিনি। আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে নভেম্বরের ৫ তারিখের মধ্যে ভর্তি হতে বলা হয়েছিল। আমি ভর্তি হয়ে গেছি।
বিভাগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে চিঠি এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে নির্দেশনা দিবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমার কাছে ফাইলটি এসেছিল। আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স বহির্ভূত হওয়ায় আমি সেটি নাকচ করে দিয়েছি। তবে কর্মকর্তার ভুল বুঝাবুঝির কারণে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছিল। পরে আমি স্থগিত করে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, আনোয়ার পারভেজ আবেদন পত্রে পারিবারিক সমস্যা উল্লেখ করলেও তাকে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে চলাচল, আড্ডাসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড করতে দেখা যেত বলে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল ফুটবল প্রতিযোগিতায়ও তিনি অংশগ্রহণ করেন। শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে পদ পেতে বিভিন্ন মাধ্যমে লবিং করছেন বলে জানা গেছে। এ পদ পেতেই ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখার অবৈধ চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।