
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যালট পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদ সালাম-বরকত হল কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৯৩ জন। অথচ সেখানে ব্যালট পাঠানো হয়েছে ৪০০টি। এর অর্থ সেখানে ১০৭টি ব্যালট পেপার অতিরিক্ত রয়েছে। এটা খুবই অ্যালার্মিং (আশঙ্কাজনক)। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর কোনো সদুত্তর পাইনি।’
ভিপি প্রার্থী আদিব আরও অভিযোগ করেন, ভোটার না হয়েও ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী হলগুলোতে অবস্থান করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের এমন অনেক নেতাকর্মী যারা ক্যাম্পাসের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমান ভোটার নন তারা বিভিন্ন হলে অবস্থান করছেন। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছিল, সকাল ১০টার পর হলে কোনো বহিরাগত থাকলে তাদের গ্রেফতার করা হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আদিব বলেন, ‘নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে হলে এসব বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
একই অভিযোগ করেন জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ছোট ছোট ত্রুটিগুলো এখন বড় আকারে প্রভাব ফেলছে। ব্যালট পেপারের ক্ষেত্রে দেখছি যে ভোটকেন্দ্রে ৫২২ জন থাকলে সেখানে ৬০০টি ব্যালট দিয়েছে। কোথাও ৩৯০ জন ভোটার থাকলে সেখানে ৪০০টি দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছিলাম অতিরিক্ত ব্যালটগুলো সমস্যাজনক ও স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে অন্তরায়, তাই আমরা চেয়েছিলাম অতিরিক্ত ব্যালট যেন না রাখা হয়। কিন্তু আমরা দেখছি প্রতিটি হলেই অতিরিক্ত ব্যালট দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই, নির্দেশনা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের স্বচ্ছতার জন্য যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, এখনো তারা পর্যাপ্ত ভূমিকা রাখতে পারছে না। আমরা আশা করছি, পোলিং এজেন্ট নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে তা দ্রুত দূর করবেন। এবং অতিরিক্ত ব্যালট ভোটকেন্দ্রে রাখার দ্বার কারচুপির শঙ্কাকে উসকে দেওয়াকে কোনোভাবেই সমীচীন মনে করছি না।