Image description

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকা রাখা শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পর এবার ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উপ-রেজিস্ট্রার মো. গোলাম কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্টদের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলেছে প্রশাসন।

এদিকে শোকজের চিঠিগুলো গত ১৩ আগস্ট সই করা হলেও অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের কাছে ১০ দিন পর পৌঁছেছে বলে জানান তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‌‘চিঠি ইস্যু হয়েছে গত ১৩ তারিখ। কিন্তু আমরা হাতে পেয়েছি গতকাল। চিঠিতে আবার ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ চিঠি পৌঁছাতেই ১০ দিন দেরি করেছে।’

 

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, ‘এটার মোট তিনটি ক্যাটাগরি—শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী। আমাকে যখন যেটা দিয়েছে আমি সেটাই পাবলিশ করেছি। এটা দেরি হওয়ার কারণ উপাচার্য স্যারই ভালো জানেন। এ বিষয়ে আমি জানি না।’

শোকজ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেন খান ও আব্দুল হান্নান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম সেলিম, প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার ড. ইব্রাহীম হোসেন সোনা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শাখা কর্মকর্তা উকীল উদ্দিন, ফার্মেসি বিভাগের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম (শিমুল), আইসিটি সেলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জে এম ইলিয়াস, অর্থ ও হিসাব বিভাগের শাখা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন, ফটোগ্রাফি-তথ্য-প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার শেখ আবু সিদ্দিক রোকন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদুর রহমান।