ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে। প্রথমেই ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ নয় বলে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করা হয়েছে। এরপর পুরোনো শিক্ষাক্রমের বই পরিমার্জন করা হয়েছে। এসব বইয়ের পাতায় পাতায় আগে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী, তার ভাষণ, বিভিন্ন ঘটনা ও ছবি এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যগাথা লিপিবদ্ধ ছিল। এমনকি বইয়ের প্রচ্ছদ, পেছনের কাভার এবং ভেতরেও শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবি স্থান পেয়েছিল।
আরও ছিল শেখ হাসিনার বাণী। সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ বই থেকে শেখ মুজিবের ছবি ও তথ্য সংশোধন করা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণায় শেখ মুজিবের পাশাপাশি মেজর জিয়াউর রহমানের ছবি ও তথ্য যুক্ত হয়েছে। তবে প্রয়োজনের নিরিখে শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু ছবি ও তথ্য রাখা হয়েছে। নতুন বছরের পাঠ্যবইগুলো বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ‘আমার বই’য়ে সূচিপত্রের আগে স্থান পাওয়া শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় অধ্যায়ের শুরুতে একইভাবে তার ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যায় থেকে শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ বাদ পড়েছে। অধ্যায়ের শব্দার্থ ও প্রশ্নোত্তর অংশেও শেখ মুজিবকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা ‘সোনার ছেলে’ বাদ দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে বাদ গেছে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা গদ্য ‘সেই সাহসী ছেলে’। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে ‘আমাদের জাতির পিতা’ অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। ইংরেজি বইয়ের শেষ অধ্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা গদ্য ‘অ্যা ওয়ান্ডারফুল বয়’ বাদ গেছে।
চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বই থেকে বাদ গেছে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মমতাজউদদীনের লেখা ‘বাংলার খোকা’ এবং নির্মলেন্দু গুণের লেখা কবিতা ‘মুজিব মানে মুক্তি’। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অধ্যায়ের ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক লেখায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ছবির পাশাপাশি মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার ছবি স্থান পেয়েছে। এখানে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়েছে। তবে তিনি প্রথমে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেও ২৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আরেকবার ঘোষণা দেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ‘পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের বাংলাদেশের ইতিহাস অধ্যায়ে।
পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির বইগুলো পুরোনো শিক্ষাক্রমের ছিল। সে কারণে এসব বইয়ের প্রচ্ছদে মুজিববর্ষের লোগো ছিল। সেগুলোর বাদ দেওয়ার পাশাপাশি প্রচ্ছদে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। ইংরেজি বইয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন অনুচ্ছেদে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও স্বাধীনতার ঘোষণা অংশটুকু বাদ দেওয়া হলেও বাকিসব ঠিক রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক অধ্যায়ের প্রথম অংশে রয়েছে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ছবি। পাশে রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। জাতীয় চার নেতার ছবিও রয়েছে। পুরোনো বইয়ে একই স্থানে শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ছবি ছিল।
ষষ্ঠ শ্রেণির চারুপাঠ বইয়ে রোকনুজ্জামান খানের লেখা ‘মুজিব’ কবিতাটি বাদ দেওয়া হয়েছে। একই শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বই থেকে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ প্রবন্ধটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এই শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বই থেকে শেখ মুজিবের জন্ম ও স্কুলজীবন নিয়ে লেখা ‘সন অব দ্য সয়েল’ এবং ‘মুজিব ইন স্কুল ডেজ’ দুটি লেসন বাদ দেওয়া হয়েছে। আওয়ার প্রাইড অংশে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ এবং স্বাধীনতার অংশটুকু বাদ দিয়ে বিজয় দিবসের তাৎপর্য আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের বাংলাদেশের ইতিহাস অধ্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, তার ৭ মার্চের ভাষণের ছবি, পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের ছবি, ২৫ মার্চের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় সংক্ষেপে প্রাচীন যুগ থেকে বাংলাদেশের বিজয় পর্যন্ত ইতিহাস লেখা হয়েছে। একই শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বই থেকে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ প্রবন্ধ রচনাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
সপ্তম শ্রেণির ‘সপ্তবর্ণা’ বই থেকে গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের লেখা ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। ইংলিশ ফর টুডে বইয়ের গ্রেট ওমেন টু রিমেম্বার অংশে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে লেখা ‘বঙ্গমাতা: আওয়ার সোর্স অব ইন্সপিরেশন’ লেসন বাদ দেওয়া হয়েছে। গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস অধ্যায়ে ‘বঙ্গবন্ধু’স লাভ ফর স্পোর্টস’ লেসন ও ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু’স রেসপন্স টু ন্যাচারাল ক্যালামিটিস’ নামে লেসনটিও বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ‘হোয়াট হ্যাপেনস ইন বাংলাদেশ’ নাম দিয়ে লেসনটি পরিমার্জন করে লেখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম অধ্যায়ের নাম লেখা হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম। এই অধ্যায়ে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম গেছে, যা আগের বইয়ে ছিল না। এখানে শেখ মুজিবের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ, ছয় দফা দাবির জনসভায় বক্তৃতা এবং ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার ছবি বাদ গেছে। যুক্ত হয়েছে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার ছবি।
অষ্টম শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বই থেকে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড বাংলাদেশ’ নামে একটি লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের স্বাধীনতার ঘোষণা অংশে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দিয়ে জিয়াউর রহমানের ছবি দেওয়া হয়েছে। তবে তার ৭ মার্চের ভাষণের ছবি ও তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। সাহিত্য কণিকা বইয়েও ৭ মার্চের ভাষণ রাখা হয়েছে। একইভাবে শেখ মুজিবের ভাষণ ও ছবি রাখা হয়েছে নবম-দশম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ের বাংলাদেশের স্বাধীনতা অংশে। আবার বাংলা বইয়ে থাকা ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়নি।
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বই থেকে শেখ মুজিবকে নিয়ে লেখা নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প প্রবন্ধের ঐতিহাসিক স্থাপনা অংশে টুঙ্গিপাড়ার নাম, ভাষা আন্দোলন অনুচ্ছেদে ১৯৫২ সালের ১০ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের বৈঠক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ প্রবন্ধে শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ডাক অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্যগাথা নিয়ে লেখা প্রবন্ধ ‘অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ও বাদ দেওয়া হয়েছে। একই শ্রেণির ‘ইংলিশ ফর টুডে’ বই থেকে মুজিবুর ওপর লেখা ‘ফাদার অব দ্য নেশন’ বাদ দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বইয়ে শেখ হাসিনা, সাবেক দুই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে।
পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ে পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান অংশে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিছিল ও পিকেটিং করার সময় শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। ৬ দফার পটভূমি অংশে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অংশের ভূমিকায় জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা অংশটুকু যোগ হয়েছে। তবে ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক যাত্রা অংশে জিয়াউর রহমানের ছবি যুক্ত করা হয়েছে। আগের বইতে ছিল মুক্তিযুদ্ধে নারী অংশে নারীদের ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ মুজিবুর রহমান তাদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। নতুন বইয়ে লেখা হয়েছে সরকারিভাবে তাদের বীরাঙ্গনা উপাধিতে ভূষিত করা হয়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অবদান অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও ছিল।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বই থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল (১৯৭২-৭৫) এবং সামরিক শাসন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ (১৯৭৫-৯০) অধ্যায় দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে। বইয়ের ভাষা আন্দোলন ও পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ অধ্যায়েও ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও শেখ মুজিবুর রহমান নামে একটি পাঠ বাদ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পাঠ ও তার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। সামরিক শাসন ও স্বাধিকার আন্দোলন অধ্যায়ে ছয় দফা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ পাঠকে লেখা হয়েছে আওয়ামী লীগের ছয় দফা। শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান পাঠটি বাদ দেওয়া হয়েছে। সত্তরের নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধ অধ্যায়ে নির্বাচনোত্তর নেতাকর্মী বেষ্টিত শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ঠিক রাখা হয়েছে। সাতই মার্চের ভাষণ এবং ছবিও ঠিক রাখা হয়েছে। ২৫ মার্চের গণহত্যা এবং স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ দুটি অধ্যায়কে এক করে ২৫ মার্চের গণহত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধ করা হয়েছে। এখানেও জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা অংশটুকু যোগ করা হয়েছে। অবশ্য বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তার অধ্যায় ও সেখানে ব্যবহৃত ছবি ঠিক রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া, মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির আরবি সাহিত্য বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে শেখ মুজিবের ছবি সংবলিত টাকার নোটের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। ৮ম শ্রেণির আরবি সাহিত্য বইয়ে ইসতেকলালু বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে মারেফাতু বাংলাদেশ করা হয়েছে। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ছবি সরিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র বসানো হয়েছে।
জানতে চাইলে পাঠ্যবই পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সদস্য রাখাল রাহা কালবেলাকে বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে, ইতিহাসের পাঠে কাউকে অতিমানব করে দেখানোর প্রকল্প আমরা নেইনি। সে হিসেবে ইতিহাসের পাঠে যার যতটুকু অবদান সেটুকুই রাখা হয়েছে।