Image description

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশিত নীতিমালার শর্ত পূরণ করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আলোচিত প্রার্থী মোবারক হোসাইনকে ডাকা হয়। তাকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতাশিত প্রতিবেদন ‘মিথ্যা’ ও ‘ষড়যন্ত্রমূলক’। তার প্রার্থিতা বাতিল করতে বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশটিও ‘অবৈধ’।

আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এসব জানানো হয়।

মোবারক হোসাইন নামের ওই প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি।

প্রতিবাদলিপিতে কুবি প্রশাসন উল্লেখ করে, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ-এ প্রকাশিত “শর্তাবলী পূরণ না করেও কুবির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ” এবং দৈনিক কালের কন্ঠ-এ প্রকাশিত “শর্তপূরণ না করেও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডাক” শীর্ষক সংবাদ দুটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নজরে এসেছে। প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের শুরুতেই দাবি করা হয়েছে, “রেজাল্ট না থাকা স্বত্বেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক পদে ডাক পেয়েছেন এক প্রার্থী” এবং কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের শুরুতে দাবি করা হয়েছে, “আবেদনের শর্তপূরণ করেননি, তবু শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চিঠি পেয়েছেন মো. মোবারক হোসাইন নামের এ প্রার্থী।” এই দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও চরম মিথ্যাচার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, বিধিবিধান ও নিয়মনীতি অনুসরণ করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘সে বিবেচনায় বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি কর্তৃক গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রেরিত সুপারিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যথাযথ মর্মে বিবেচিত হয় এবং সে অনুযায়ী প্ল্যানিং কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাইকৃত প্রার্থীদেরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর তারিখে পত্র প্রেরণ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্দেশিত নীতিমালার ব্যত্যয় না ঘটায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের নিয়োগ প্রার্থী মোবারক হোসাইনকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ যথাযথ হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করেন।’

এতে আরও জানানো হয়, ‘গত ৪ ডিসেম্বরে বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ যথার্থই ছিল অর্থাৎ উক্ত সভায় ২৮টি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ২৬ জন প্রার্থীকে যোগ্য বিবেচনা করে সুপারিশ করেন। সে মোতাবেক ২৬ জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। এদিনের বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি কর্তৃক পাঠানো সুপারিশের বিষয়ে কোনো অসামঞ্জস্যতা না থাকায় কিংবা তা সংশোধনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা না থাকা সত্ত্বেও একই বিষয়ে পুনরায় গত ৩১ ডিসেম্বর বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সভা আহ্বান করা যুক্তিযুক্ত হয়নি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত নিয়োগ নির্দেশনা অনুযায়ী ২৭ নং প্রার্থী মোবারক হোসাইন এর সকল যোগ্যতা পূরণ হলেও বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি কর্তৃক তার প্রার্থীতা বাতিলের বিষয়ে গৃহিত সুপারিশ বিধি বহির্ভূত।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে রাজি হননি ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্ল্যানিং কমিটির প্রধান অধ্যাপক শেখ মকছেদুর রহমান।

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জানুয়ারি ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিভাগটিতে একজন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে।