Image description

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি সরকারি কলেজের সংকট যেন পিছু ছাড়ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল হলেও শিক্ষার্থীরা এখন পড়েছেন অদ্ভুত প্রশাসনিক শূন্যতার মধ্যে। এই সাতটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করতে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নাম প্রস্তাবিত হলেও নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়নি। এমনকি এখনো গঠিত হয়নি সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন। এর ফলে থমকে আছে পরবর্তী সেশনের ভর্তি পরীক্ষাও। এতে করে অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।

এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আজকের মধ্যেই অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঘোষণার দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এমনকি এ সময়ের মধ্যে সুস্পষ্ট ঘোষণা না এলে ফের মাঠে নামার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

সমস্যার কেন্দ্রে ‘অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন’

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন নাম ঘোষণার পরও মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো প্রশাসনিক কাঠামো গঠিত হয়নি। এর ফলে সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও ভর্তি প্রক্রিয়া একপ্রকার ঝুলে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বারবার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে কোনো কার্যকর অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। সেজন্য, শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির অন্যতম প্রধান দাবি ছিল— অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে জারি করতে হবে।

গতকাল শনিবার (১৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, রোববারের (১৮ মে) মধ্যে প্রশাসন গঠন না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।

জরুরি বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের আশ্বাসের চেয়ে বাস্তবতা ভিন্ন। ইতোমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি যৌথভাবে একটি ‘নজরদারি সংস্থা’ গঠনের প্রস্তাব করেছে। প্রাথমিকভাবে ইউজিসির একজন সদস্য ও সাত কলেজের একজন অধ্যক্ষের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী কাঠামো গঠনের কথা বলা হলেও তা এখনো কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।

তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহল আন্তরিক থাকার পরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কালক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে আমরা শুরু থেকেই সুস্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছি। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্যার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের পথে আমরা বড় অগ্রগতি দেখছি। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে— এটি আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তবে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ না আসা পর্যন্ত আমরা থেমে যাচ্ছি না। আর সাত কলেজের লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোনো টালবাহানা গ্রহণযোগ্য নয়।’

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে এক হচ্ছে সাত কলেজ

শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমরা চাই শিক্ষার চূড়ান্ত সমাধান, কোনো দলীয় সুবিধা বা ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কিছু ব্যক্তি ও চক্র বারবার আমাদের পথরোধ করেছে, সাত কলেজের উচ্চশিক্ষাকে কলঙ্কিত করেছে। তারা নিজেদের স্বার্থে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলেছে। আমরা একদিকে রাষ্ট্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, অন্যদিকে নিজের অধিকারের প্রতি সচেতন। আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি— ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির বিষয়টি নিয়ে আর কোনো বিলম্ব চলবে না। প্রয়োজন হলে আমরা আনন্দ মিছিল করব, আবার সমাধান না এলে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে জবাব দেব।

ভর্তি পরীক্ষা অনিশ্চিত : বিপাকে ভর্তিচ্ছুরা

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী প্রশাসন না হওয়ায় সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তায় পড়েছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। সাধারণত মে মাসেই ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সময়সূচি বা নির্দেশনা আসেনি। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় সংকট তৈরি হয়েছে পরবর্তী সেশনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে। কেননা, কার্যকর কোনো কমিটি বা পরিচালক না থাকায় এখনও ভর্তি পরীক্ষা বিষয়টি অনিশ্চিত। আবার যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছেন তারাও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময়সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো নির্দিষ্ট কোনো তারিখ কিংবা প্রস্তুতির আভাস নেই। অনিশ্চয়তা দীর্ঘ হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হবেন। এতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষেই ভালো মানের শিক্ষার্থী হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

তা ছাড়া, বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধ্যয়নরত রয়েছেন তাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শেষ করতে এই কাঠামোর অধীনে ঢাবির রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হলেও তা কার্যকর হয়নি। ফলে, প্রশাসনিক স্থবিরতার সম্ভাবনাও থেকেই যাচ্ছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের মাঝপথে আটকে আছে তাদের উচ্চশিক্ষা জীবন।

রুবিয়া সুলতানা নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ঘোষণা শুনে আশাবাদী হয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি সবকিছু অনিশ্চিত। এখনো ভর্তি পরীক্ষার কোনো নোটিশ নেই, সময় পার হয়ে যাচ্ছে। আমরা কোথায় যাব? অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করব নাকি অপেক্ষা করব এই সিদ্ধান্তও নিতে পারছি না।’

মাহমুদুল হাসান নামে আরেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাবির অধীনে ফরম পূরণ করেছিলাম, এখন শুনছি সেটাও অনিশ্চিত। আবার নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো তথ্যও নেই। আমাদের তো জীবন থেমে আছে। দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার এভাবে অস্থির হয়ে পড়া খুবই কষ্টদায়ক। যদি সময়মতো ভর্তি পরীক্ষা না হয়, তাহলে মেধাবীরা অন্য জায়গায় চলে যাবে। তখন এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আসবে, তারা কি আগের মতো হবে? শুরুতেই যদি আমরা ভালো মানের শিক্ষার্থী হারাই, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কীভাবে গড়ে উঠবে?’

অবরোধেও চলছে ৭ কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষা, কেন্দ্রে আসতে ভোগান্তি

নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা কলেজের এক অধ্যাপক বলেন, ‘রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি পৃথক পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে। দীর্ঘদিনের আন্দোলন, শিক্ষাগত সমস্যা এবং প্রশাসনিক জটিলতার পর শিক্ষার্থীরা যেমন এক ধরনের স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন, তেমনি আবার নতুন এক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। কারণ, অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন এখনও জারি হয়নি। এর ফলে স্থবির হয়ে আছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম, বিশেষ করে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।’

সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া সাত কলেজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

সাত কলেজের বর্তমান বাস্তবতা গভীরভাবে বিশ্লেষণ না করে কোনো হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলে তা বড় ধরনের সংকট ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং সাত কলেজের সাবেক সমন্বয়ক অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। তার মতে, সাতটি সরকারি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পর থেকেই নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। অথচ, যেসব স্বপ্ন দেখিয়ে এই রূপান্তর ঘটানো হয়েছিল, বাস্তবে তার সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক রোডম্যাপ ছাড়া যখন শিক্ষা ব্যবস্থায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আনা হয়, তখন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রশাসন— সব পক্ষই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। সাত কলেজের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এই কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি, অবকাঠামোগত সক্ষমতা সীমিত আর প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল। ফলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি গবেষণানির্ভর প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও এই বিশাল শিক্ষার্থীর সুষ্ঠু তদারকি করা বাস্তবিক অর্থে কঠিন হয়ে পড়েছিল।’

অধ্যাপক সেলিম উল্লাহ খোন্দকার আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, সাত কলেজ শুধু সাতটি প্রতিষ্ঠান নয় এটি একটি বৃহৎ শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিফলন। এখানে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। তাদের শিক্ষাজীবন, পরীক্ষা, ফলাফল এবং সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য প্রয়োজন একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কাঠামো।’

তিনি প্রস্তাব করেন, একটি স্বাধীন, দক্ষ এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ কো-অর্ডিনেশন সেল গঠন করতে হবে, যার মাধ্যমে একক মানদণ্ডে শিক্ষাক্রম, পরীক্ষা, ফলাফল ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অন্যদিকে, যদি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ও গঠন করা হয় তবে তা-ও হতে হবে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও রোডম্যাপ অনুসরণ করে।

অধ্যাপক খোন্দকারের মতে, হুটহাট সিদ্ধান্ত নয় বরং সাত কলেজকে ঘিরে ‘সুদূরপ্রসারী ও অংশগ্রহণমূলক’ চিন্তাভাবনা জরুরি। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের মতামত, শিক্ষার্থীদের চাহিদা, প্রশাসনের দক্ষতা, এবং অবকাঠামোগত বাস্তবতা— সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়া সমস্যার সমাধান অসম্ভব। না হলে প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা, বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। কারণ, শিক্ষা শুধু পলিসি দিয়ে চলে না, চলে পরিকল্পনার ভিত্তিতে।’

সাত কলেজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এখন সময় এসেছে নীতি নয়, প্রজ্ঞার প্রয়োগের উল্লেখ করেন অধ্যাপক সেলিম।

ইউজিসিও অপেক্ষা করছে প্রশাসকের

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামের স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রশাসক নিয়োগের অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বিষয়টি নিয়ে ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা সাত কলেজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে এরই মধ্যে ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা যখনই প্রশাসক নিয়োগ দেবে তখন থেকে কার্যক্রম শুরু হবে। যিনি প্রশাসক হবেন তিনিই নতুন সেশনের ভর্তি কার্যক্রমসহ অন্যান্য বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

ডিসেম্বরে ঢাকায় আঞ্চলিক উচ্চশিক্ষা সম্মেলন হবে : ইউজিসি

ফের আন্দোলনের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী সময়ে ইউজিসি থেকে প্রস্তাবিত নাম পাঠানো হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন ও রাষ্ট্রপতির সম্মতির পরই অধ্যাদেশ জারি হবে। তবে এখনো সেই অধ্যাদেশ বা অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আটকে আছে ভর্তি পরীক্ষা, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং বাজেট পরিকল্পনাসহ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। এমন অবস্থায় ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৭ মে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো— আগামী ১৯ মে'র মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। তা না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো— অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি, সেশনজট নিরসন ও অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও রূপরেখা প্রকাশ এবং অধ্যাদেশ ও বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা।