Image description

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এবং প্রতিযোগিতামূলক নেতৃত্ব উন্নয়ন কর্মসূচি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ‘অ্যাসপায়ার লিডারস প্রোগ্রাম’ এর তৃতীয় পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন মাইশা মুবাশ্বিরা। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। 

জানা গেছে, ‘অ্যাসপায়ার লিডারস প্রোগ্রাম’ এর মূল উদ্দেশ্য হল উন্নয়নশীল ও সীমিত সুযোগপ্রাপ্ত সমাজের উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণদের অ্যাকাডেমিক ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতৃত্বে প্রস্তুত করা। বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার আবেদনকারীর কঠিন যাচাই-বাছাই পর্ব পেরিয়ে মাইশা নির্বাচিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে মাইশা মুবাশ্বিরা বলেন, ‘প্রথমে মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। এ প্রোগ্রামে নির্বাচিত হওয়া আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। এটা আমার আত্মবিশ্বাসকে অনেক গুণ বৃদ্ধি করেছে। দোয়া করবেন, আগামীতে দেশের জন্য—বিশেষ করে নারীদের অগ্রগতির জন্য কাজ করতে পারি।’

সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রোগ্রামের বিষয়টি জানতে পেরে তিনি আবেদন করেন। প্রথম বর্ষে পড়া অবস্থায় এ ধরনের সুযোগ পাওয়া তার জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা। একাডেমিক জীবনে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি তার স্বপ্ন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এই প্রোগ্রামে নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সে তার স্বপ্নের অনেক কাছাকাছির পৌঁছাতে পারবে বলে মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এ প্রোগ্রামটির মাধ্যমে নেতৃত্বের দক্ষতা গড়ে ওঠে, এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। যা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য আমি কাজে লাগাতে চাই। মা-বাবার অনুপ্রেরণাতেই এই অর্জন।’

ড্যাফোডিলের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ রাশেদ হায়দার নূরী বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। মাইশার এই সাফল্য আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও কাঠামোর উন্নয়নের অব্যাহত প্রতিফলন। আমাদের ছাত্রছাত্রীরাও অক্সফোর্ড, হার্ভার্ডসহ শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়াশোনা করছে এবং গুগল, মেটা, মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এর মানে আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সক্ষমতা রয়েছে এবং আমরাও তাদেরকে সেই উপযোগী পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করছি। মাইশার এই অর্জন নতুন সংযোজন, আমি তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই এবং আশা করি অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও এর থেকে অনুপ্রেরণা পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে আত্মবিশ্বাসের কমতি রাখা যাবে নাহ, কারণ তারাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমানতালে প্রতিযোগিতা করে সফলতা অর্জন করে। যারা চেষ্টা করেন, তারাই পারদর্শিতা দেখান এবং সফলতা পেয়ে থাকেন।’

মাইশা মুবাশ্বিরার এ সফলতা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণদের জন্য নতুন স্বপ্ন দেখার সাহস যোগাবে এবং নারীদের মধ্যে নেতৃত্ব গড়ার পথ প্রশস্ত করবে, এটাই প্রত্যাশা সাধারণ শিক্ষার্থীদের।