
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পক্ষপাতমূলকভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন, ফ্যাসিবাদী আচরণ করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট সমাধানে শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবির বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। এ ছাড়া গত জুলাইয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার না করা, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি মারা যাওয়া শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হকের চিকিৎসায় সহায়তার আবেদনকেও অবহেলার অভিযোগ আনা হয়। আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করাতেও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি মানা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। চলমান প্রশাসনিক শাটডাউনের পাশাপাশি একাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে। তার পরও দাবি আদায় না হলে বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকা ‘শাটডাউন’-এর হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। দুপুর ২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানি এবং ট্রেজারার অধ্যাপক মামুন অর রশিদ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। তাঁরা কর্মসূচির ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। উপাচার্যের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ঢালী বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর ৯ মাস পার হলেও কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। বারবার দাবি জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি এ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তিন সপ্তাহ ধরে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। কিন্তু উপাচার্য বা প্রশাসনের কেউ আলোচনায় বসার প্রয়োজন মনে করেননি। এই অবহেলাই প্রমাণ করে তিনি অযোগ্য।