Image description

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষার হলে ছাত্রীদের হিজাব খোলার অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা রনির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। তারা এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ পালনও করা হয়।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একাডেমিক ভবন ডি-এর সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, ২০২৫ সালে এসে কোনো শিক্ষার্থীকে শনাক্তকরণের নামে হিজাব খুলে রাখতে বলা স্পষ্ট ইসলাম বিদ্বেষ। এমন আচরণ বরদাশত করা যায় না। পরীক্ষায় শনাক্তকরণের নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হিজাব খোলা রাখতে বলা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কি টি-শার্ট পরে মেয়েরা আসে না? তখন কোনো শিক্ষক তো কিছু বলেন না। তাহলে মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরে এলে সমস্যা হয় কেন? এখানে বৈষম্য কেন? টি-শার্ট পরা মেয়ের যদি পোশাকের স্বাধীনতা থাকতে পারে, তাহলে হিজাব পরা মেয়েদের কেন পোশাকের স্বাধীনতা থাকবে না?

শিক্ষিকার প্রতি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আপনি যদি এরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করতে থাকেন, তাহলে আপনি ভুলে গেছেন চব্বিশের আন্দোলনের কথা। ওই আন্দোলন কিন্তু নিয়ম মেনে হয়নি। হাসিনা কিন্তু পালিয়েছে। আপনি যদি ফ্যাসিস্টের দোসর হয়ে থাকেন, আপনাকেও কিন্তু পালাতে বাধ্য করা হবে।’

শিক্ষিকাকে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘অধ্যাপক ফারজানা এর আগেও অনেকবার এমন অসভ্য কাজ করেছেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চাই, তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? একই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার অবস্থানও স্পষ্ট করতে হবে।’

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন পরীক্ষার হলে অধ্যাপক ফারজানা ছাত্রীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ফারজানার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।