
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রছাত্রীরা বই পড়া থেকে দূরে চলে এসেছে। তারা বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি ও প্রশ্নের উত্তর প্রদান না করে চ্যাট জিপিটির মাধ্যমে অ্যাসাইমেন্ট তৈরি ও প্রশ্নপত্রের উত্তর প্রদানে খুব বেশি ঝুঁকে পড়েছে। এটা তাদের চিন্তা ও চেতনাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলছে। তারা জ্ঞানবিজ্ঞানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বর্তমানে এমফিল ও পিএইচডির ক্ষেত্রে চ্যাট জিপিটির ভূমিকা ন্যাক্কারজনক। এসব কারণে আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রীধারী বেকারের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী বলেন, সমগ্র পৃথিবীজুড়ে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হৈচৈ পড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবন ও বহুমাত্রিক প্রয়োগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আগামী দিনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের বিশ্বিবদ্যালয়গুলোকে এআই এর উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর মৌলিক, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গবেষণা করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তোলা যায়।
এম আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং কয়েকটি উন্নত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো পড়ালেখা হচ্ছে। এইচএসসি পাস করার পর মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া এবং মেধাবীদের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। কারণ কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করলে দেশে ও বিদেশে চাকরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী বলেন, অসাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছাত্রছাত্রীরা চার বছরের অনার্স কোর্সের মধ্যে তিনবছর অনার্স পড়াশুনা এবং একবছর ডিপ্লোমা পড়াশুনা করবে। এক্ষেত্রে তাদের দুটি সার্টিফিকেট দেয়া হবে। একটি হলো অনার্স ও অন্যটি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কর্মেক্ষেত্র তৈরির জন্য কারিগরি ও পলিটেকনিক শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।