Image description

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচন। আগামী ১১ই সেপ্টেম্বর ভোট। নির্বাচনকেন্দ্রিক সরগরম ক্যাম্পাস। ভোট পেতে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ক্যাম্পাস উৎসবমুখর, নেই সংঘর্ষ-সংঘাত। তবে ভোটের পরিবেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে ভয়-সংশয়। ১৯৭২ সালে জাকসু প্রতিষ্ঠার পর আটবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবশেষ ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল হতে ভিপি পদে মাসুদ হাসান তালুকদার ও জিএস পদে শামসুল তাবরীজ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

৬৫টিতে নেই কোনো প্রার্থী, আর ১২৪ পদে প্রার্থীরা জয় লাভ করবেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এর মধ্যে ১১টি ছাত্র হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৬৫ জন প্রার্থী, ৯টি পদে নেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী। অপরদিকে, ১০টি ছাত্রী হলে ৫৯টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হবেন প্রার্থীরা, কোনো প্রার্থী নেই ৫৬টি পদে।

শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাজহার ইসলাম বলেন, জাকসু নির্বাচন যত সময় আগাচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন মহল থেকে জাকসু হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। আমরা শঙ্কাগুলোর বাস্তব রূপ দেখতে চাই না। আমরা চাই না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেউ প্রতারণার চরিত্রে অবতীর্ণ হোক।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের ভিপি প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, জাকসু’র সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। প্রচারণার ১১তম দিনেও সকল প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। আমরা আশা রাখছি, আগামী ১১ই সেপ্টেম্বর কাঙ্ক্ষিত জাকসু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পাবো।