১১ ঘণ্টা অবরূদ্ধ থাকার পর পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিটের একটি বৈঠকে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়। দাবি মেনে নেওয়ায় বিজয় উল্লাসে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় রাবি প্রশাসন।
এর ফলে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আর পোষ্য কোটা থাকছে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
গত একমাস ধরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। দাবির প্রেক্ষিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানদের কোটা বাতিল করে কেবল সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা পুনঃনির্ধারণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীরা চান পুরোপুরি বাতিল করতে হবে পোষ্য কোটা। দাবি মেনে নিতে বুধবার রাতে ১৫ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
তবে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
এছাড়াও সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তারা ৯টা ৫০ মিনিট থেকে মাইকে প্রশাসন ভবন থেকে সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তবে ভবনে অবস্থানকারীরা বের হননি। এরপর ১০টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় শতাধিক কর্মকর্তাসহ কর্মচারীরা আটকা পড়েন।