এতে প্রশাসন ভবনে ১০ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ রয়েছেন দুই উপ-উপাচার্য সহ শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। আন্দোলন চলাকালে শাবল দিয়ে তালা ভাঙাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের মাঝে উত্তেজনাও দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধ্যা ৭টার পরে প্রশাসন ভবনের ভেতর থেকে শাবল দিয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করেন অবরুদ্ধ থাকা কয়েকজন। এতে বাইরে এক শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে প্রশাসন ভবনের সামনেই অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। তালাবদ্ধ অবস্থায় প্রশাসন ভবনের ভেতরেই রয়েছেন দুই উপাচার্যসহ অন্যরা।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
জানতে চাইলে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবি শাখার সহ-সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে আগামী রবিবার থেকে আমরা সবকিছু বন্ধ করে দেবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন থেকে শুরু করে ক্লাস-পরীক্ষা সবকিছু বন্ধ থাকবে।’
অন্যদিকে অফিসার্স সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আগামী ৫ জানুয়ারি উপাচার্য স্যারের সঙ্গে দেখা করবো। তিনি যদি আমাদের দাবি মেনে না নেন তাহলে ৬ তারিখে মানববন্ধন, ৭ তারিখে অবস্থান কর্মসূচি ও ৮ তারিখে দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করবো। তাতেও যদি কোনও সমাধান না হয় তাহলে আমরা লাগাতার কর্মসূচিতে যাবো এবং কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেবো।’
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও বাইরের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছেন।